রাজধানীতে ৬ মাসে ১৩৬ আন্দোলন
যুগান্তর প্র্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীতে ৫ আগস্ট থেকে ২৯ জানুয়ারি বুধবার পর্যন্ত ১৭৭ দিনে আন্দোলন হয়েছে ১৩৬টি। নানা সংগঠন ও গোষ্ঠীর ব্যানারে হচ্ছে আন্দোলন-যেগুলোর বেশিরভাগই অচেনা। আন্দোলনকারীরা বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার বলে অবরোধ করেন রাস্তা, ঘেরাও করেন সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ প্র্রতিষ্ঠান। এক দিনে ১৭টি স্পটে অবরোধের ঘটনাও ঘটেছে। এতে যানজটসহ নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এতদিন এক পক্ষ সব সুবিধা নিয়ে এসেছে, যারা পাননি তারা বেশিরভাগই আন্দোলনে নেমেছে। এছাড়া সরকারকে নাজুক ভেবে অনেকেই দ্রুত দাবি আদায়ের চেষ্টায় থাকেন।
সচিবালয় ঘেরাও করে ১৯ আগস্টের আন্দোলন ছিল ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের সময় স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষাগুলো না দিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে ফল প্রকাশের দাবিতে। এর বিপরীতে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতেও আন্দোলন হয়। পরে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়েই ফল প্রকাশ হয়। তাতে যারা পাশ করেননি তারাও নামে আন্দোলনে, ঘেরাও করেন শিক্ষা বোর্ড। ১৯ আগস্টই রাজধানীর ১৭টি পয়েন্টে চলে নানা দাবিতে অবরোধ, আন্দোলন। কারও দাবি চাকরি স্থায়ীকরণ, কেউ চায় বদলি, নিয়োগ ইত্যাদি।
প্যাডেলচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলন চলে টানা ৯ দিন। দিনের বিভিন্ন সময় সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অবরোধ করেন তারা। অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুর দিকেই আন্দোলনে নামে আনসারের সদস্যরা। ২৫ আগস্ট সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ করে রাখে সচিবালয়।
রাজপথের আন্দোলনই নয়, এতদিনের বঞ্চিত বলে দাবি-দাওয়া আদায়ে অবস্থান, অনশন হয় সচিবালয়সহ সরকারি অফিসেও। বাদ যায়নি ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তারাও। নতুন বছর শুরুর ২৮ দিনেই আন্দোলন হয়েছে ৪০টি। আন্দোলন হয় ৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের, ৪০তম এসআই ব্যাচের অব্যাহতিপ্রাপ্তদের, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের দাবিতে, পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী শব্দকে ঘিরে আন্দোলন সংঘর্ষ হয় ৪ দিন। বিডিআর সদস্যদের পরিবার, ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের আন্দোলনও হয়েছে এই মাসেই। এছাড়াও মঙ্গলবার সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগই বন্ধ করে দেয় রানিং স্টাফরা।