বিগত সরকারের আমলে ‘অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত’ পুলিশ সদস্যদের পুনর্বহালের দাবিতে আবারও সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা। বুধবার রাজধানীর পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ করেন। চাকরি ফেরত পেতে আইন অনুযায়ী আসার আহ্বান জানিয়েছে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা। বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ সদর দপ্তরের প্রধান ফটকে উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ড. শোয়েব রিয়াজ আলমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এমন সিদ্ধান্ত জানায়। পরে নতুন কর্মসূচি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে অবস্থানের ঘোষণা দিয়ে ফিরে যান তারা। আন্দোলনকারীরা বলেন, ৬ মাস ধরে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন চাকরিচ্যুত পুলিশ কনস্টেবল, এসআই ও পরিদর্শকরা। আন্দোলনের শুরুর দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ সদর দপ্তরকে আদেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু ৬ মাসেও তা বাস্তায়ন না করে উলটো টালবাহানা করা হচ্ছে। নির্বাহী আদেশে ভুক্তভোগী ২২শ সদস্যের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াসহ ১৫ দফা দাবি জানান তারা। আন্দোলনকারীরা বলেন, ২০০০ থেকে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময় ২২শ জনের মতো পুলিশ সদস্যকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাদের সবার অভিযোগ, পুনরায় তদন্ত করে যারা নির্দোষ প্রমাণিত হবেন, তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা হোক। দাবি আদায় না হলে তারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে যাবেন।

বান্দরবান জেলার সাবেক পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা যুগান্তরকে জানান, হঠাৎ করে রোলকল থেকে ডেকে নিয়ে আমাকে সাময়িক বরখাস্তের কথা জানানো হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পুনর্বহালের আশ্বাস দিয়ে ৬ মাস ধরে বিভিন্ন তারিখ দিয়ে ঘুরানো হচ্ছে।

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদ আলম বলেন, চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। বিকালে তারা রাস্তা ছেড়ে চলে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

আন্দোলনকারীদের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে তাদের বৈঠক আছে।

এদিকে, আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের চাকরি ফেরত পেতে আইন অনুযায়ী আসার আহ্বান জানান ডিআইজি ড. শোয়েব রিয়াজ আলম।