ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঘটলে কেউ রেহাই পাবে না : রিজভী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঘটলে কেউ রেহাই পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল। গণতান্ত্রিক যে শক্তি সমমনা দল, তাদের সঙ্গে তো এই সরকারের সম্পর্ক হওয়ার কথা ছিল। আজকে কোনোভাবে যদি শেখ হাসিনার পুনরুত্থান ঘটে, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকারের যদি দুই-একজন ভেতরে তাদের (আ.লীগ) সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন তাদের বাদ দিয়ে এই সরকারের তো কেউ রেহাই পাবেন না। আমরা কেউ রেহাই পাব না। আজকে যদি গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য না থাকে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব থাকবে না।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, এখন কেউ কেউ উপদেষ্টা পরিষদে কিংবা প্রধান উপদেষ্টার কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেই আন্দোলনের সপক্ষের লোকদের টার্গেট করেন। খোদা বকশ পুলিশের সাবেক আইজি ছিলেন, কিন্তু বিগত সাড়ে ১৫ বছর তার কি ভূমিকা ছিল? তিনি কয়জন লোককে চিনেন। আমরা প্রতিমুহূর্তে নিপীড়িত হয়েছি, বিএনপি অফিস ভেঙে চার-পাঁচ বার নিয়ে গেছে আমাদেরকে। এখানে (বিএনপি অফিস) আমরা যারা বসে আছি, শেখ হাসিনার পতনের দিনও জেলখানায় ছিলাম। তার আগের দিন পর্যন্ত রিমান্ডে ছিলাম। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের যে স্পিরিট, চেতনা, এটাকে কি তারা ধারণ করেন? ওটা তো তারা ধারণ করেন না। অথচ বড় বড় কথা বলেন, দেখাতে চান যে তারা অত্যন্ত নিরপেক্ষ। আপনি (খোদা বকশ) আইজি ছিলেন, বিএনপির সময় কি করতে পেরেছিলেন? আপনাদের কারণেই তো ১/১১ এসেছিল, অগণতান্ত্রিক শক্তি এসেছিল।
তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ হওয়ার পরে আলী ইমাম মজুমদার প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস করার জন্য ডিসি নিয়োগ দিলেন। বেছে বেছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারা প্রশাসনিক লোক ছিল তাদেরকে ডিসি নিয়োগ দিলেন। পরে নানা দিক থেকে বিতর্কিত হয়ে হয়তো এটা পরিবর্তন করেছে। উনি নিঃসন্দেহে বুদ্ধিজীবী মানুষ, বুদ্ধির চর্চা করেন, পত্রিকায় লেখালেখি করেন, কিন্তু সাড়ে ১৫ বছর শেখ হাসিনার আমলে কখনোই কি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষে একটি আর্টিকেল লিখেছেন? আমাদের সমর্থনে কি কখনো একটি কথা লিখেছিলেন অথবা জুলাই-আগস্টে তারা কি কোনো মতামত দিয়েছেন? কিন্তু তারা অন্তরের মধ্যে একটি মত ধারণ করেন সেটার প্রতিফলন আমরা দেখেছি উনি উপদেষ্টা হওয়ার পরে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার আবু আশফাক, মামুন হাসান, হাবিবুর রশিদ হাবিব, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, ফজলুর রহমান খোকন, রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, রাশেদ ইকবাল খান প্রমুখ।