Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

এক মাসে রিজার্ভ বাড়ল ৬৩ কোটি ডলার

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এক মাসে রিজার্ভ বাড়ল ৬৩ কোটি ডলার

আমদানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এক মাসের ব্যবধানে ৬৩ কোটি ডলার বেড়েছে। ফেব্র“য়ারির শুরুতে দেশে নিট রিজার্ভ ছিল এক হাজার ৯৯৪ কোটি ডলার। 

ফেব্রুয়ারির শেষ দিনে বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৫৭ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহও কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া নতুন করে বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার কারণেও ডলারের প্রবাহ কিছুটা বেড়ে রিজার্ভ বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারির শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ৫০৯ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়ায় দুই হাজার ৫৭৭ কোটি ডলারে। আলোচ্য সময়ে রিজার্ভ বেড়েছে ৬৮ কোটি ডলার।

তবে ফেব্রুয়ারিতে রিজার্ভ বাড়ার মূল কারণ হচ্ছে এ মাসে বড় অঙ্কের কোনো বৈদেশিক দেনা শোধ করতে হয়নি। চলতি মার্চের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা বাবদ ১০০ কোটি ডলারের বেশি পরিশোধ করতে হবে। ফলে রিজার্ভ আবার ১৯ বিলিয়ন (১০০ কোটিকে এক বিলিয়ন) ডলারের ঘরে নেমে আসবে। প্রতি দুই মাস পরপর আকুর দেনা শোধ করতে হয়।

এবার গত জানুয়ারি ফেব্রুয়ারির দেনা শোধ করতে হবে। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন রিজার্ভ বাড়াচ্ছে। এর মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে টাকার বিনিময়ে সাময়িক সময়ের জন্য ডলার ধার করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মাধ্যমেও রিজার্ভ বাড়ানো হচ্ছে।

গত অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারির তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময় পর্যন্ত রপ্তানি আয় বেড়েছে আড়াই শতাংশ, রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। এর বিপরীতে আমদানি ব্যয় কমেছে ২০ শতাংশ। একই সঙ্গে নতুন এলসি খোলার হার কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কমেছে, আয় বেড়েছে। এর প্রভাবে রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে।

এদিকে বৈদেশিক ঋণ বা অন্যান্য দেনা পরিশোধের মেয়াদ আরও কিছুটা সময় বাড়ানো হয়েছে। ফলে এখন ঋণ পরিশোধের চাপ কিছুটা কম। মেয়াদ শেষ হলে আবার ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়বে। এদিকে জ্বালানি তেল আমদানিতে সরকার বিদেশ থেকে চড়া সুদে স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ নিচ্ছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম