Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

ডিসিদের প্রতি অসন্তোষ হাইকোর্টের

এ দেশেই থাকতে হবে, লুট করে আমেরিকা নিলে সব রেখে দেবে

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এ দেশেই থাকতে হবে, লুট করে আমেরিকা নিলে সব রেখে দেবে

বারবার সময় দেওয়ার পরও বরিশালের সন্ধ্যা নদী দখলমুক্ত করে প্রতিবেদন না দেওয়ায় জেলা প্রশাসকের (ডিসি) প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেছেন, দেশ এটাই, এখানেই থাকতে হবে। কেউ যদি লুট করে আমেরিকা নিয়ে যায়, কোনো লাভ হবে না, সব রেখে দেবে।

তাই পরিবেশটা ঠিক রাখতে বলেন। কোনো কোনো ডিসি আদালতের আদেশ মানেন না। তাহলে এই আদেশ দিয়ে কী লাভ হবে?

রোববার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিসির পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাইলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এসব কথা বলেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সময় আবেদন করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিয়া আক্তার। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। জুলফিয়া আক্তার আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিসির পক্ষে আবারও সময় চান।

তিনি বলেন, আমাদের সময় দিন, আমরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করব। রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, আদেশ নিয়ে ডিসি এক ধরনের খেলা করেন। তখন আদালত বলেন, যা দেখবে তাই তো শিখবে। সচিবরাও তো তাই করে। আদালত অবমাননার হাজার হাজার মামলা পড়ে আছে।

মনজিল মোরসেদ বলেন, আমরা তাহলে কোথায় যাব? আদালত বলেন, আপনারা কনটেম্পট (আদালত অবমাননা) কোর্টে যান। মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালতের আদেশ মানাতে হলে সংবিধানের ১০৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতা (আদালত অবমাননা সংক্রান্ত) সেটা চর্চা করতে হবে। সেটা না করলে আইনের শাসন থাকবে না। জনগণও কোনো বিচার পাবে না। রাষ্ট্র কলাপস করলে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কাছে প্রতিবেদন না দেওয়ার কারণ জানতে চান হাইকোর্ট। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমাদের সর্বশেষ আরও একটু সময় দিন। এ সময় মনজিল মোরসেদ পাশ থেকে বলেন, ৫ বছর চলছে। তখন আদালত বলেন, আপিনও বোঝেন-জানেন দেশের পরিস্থিতি, আদালতের অবস্থা। তারা (রাষ্ট্রপক্ষ) চেষ্টা করে।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শেষবারের মতো সময় চাইলে আদালত বলেন, আপনি যদি একশ বছরও সময় নেন লাভ হবে না। জেলা প্রশাসককে ভালো করে বুঝিয়ে বলেন। সম্মানের জায়গাটা ঠিক রাখতে বলবেন। না হলে জবাব দিতে হবে। এরপর আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৮ জুন দিন ধার্য করেন।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সন্ধ্যা নদীর ভেতরে গুচ্ছগ্রাম দখল করা হচ্ছিল মাটি ভরাট করে। বিষয়টি আমরা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলাম।

হাইকোর্ট অনেক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। তারা প্রতিবেদন না দেওয়ায় ৫ বছর পর আদালতে আবেদন করেছিলাম। রোববার প্রতিবেদন দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আজও প্রতিবেদন না দেওয়ায় আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম