Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

যমুনা ফিউচার পার্কে আনন্দময় ঈদ কেনাকাটা

Icon

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

যমুনা ফিউচার পার্কে আনন্দময় ঈদ কেনাকাটা

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এক মাস রোজা পালন শেষে ঈদের দিনটি উদ্যাপন করতে চান হাসিমুখে, পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে।

আর এই আনন্দের অন্যতম অনুষঙ্গ নতুন জামা-কাপড়। ঈদের খুশি বিলিয়ে দিতে বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে সম্ভব হলে প্রতিবেশী ও দুঃখী মানুষকে ঈদ উপহার দেওয়া ধর্মীয় বিধান। তাই সবাই চেষ্টা করেন সামর্থ্য অনুযায়ী প্রিয়জনকে নতুন জামা-কাপড়, জুতা উপহার দিতে।

ঈদের কেনাকাটায় রাজধানীবাসীর আস্থার জায়গার নাম ‘যমুনা ফিউচার পার্ক’। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এই শপিংমলে বিশাল পরিসরে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে, এক ছাদের নিচে সব কেনাকাটার আনন্দটাই আলাদা। দেশি-বিদেশি সব ব্র্যান্ডের সর্বাধুনিক ও ট্রেন্ডি পোশাক, গয়না, কসমেটিকস, জুতা, পারফিউমের এমন সমাহার রাজধানীর আর কোনো শপিংমলে দেখা যায় না।

তাই রোজা শুরুর পর থেকেই যমুনা ফিউচার পার্কে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। বৃহস্পতিবার ছিল মাহে রমজানের ১৪তম দিন। এদিন যমুনা ফিউচার পার্কে ছিল উপচে পড়া ভিড়। চলেছে আনন্দময় কেনাকাটা। শপিংমলের বিশাল পরিসরে হাজার হাজার মানুষ অনায়াসে কেনাকাটা করতে পারেন। দুপুরের পর থেকে কেনাকাটা পুরোপুরি জমে ওঠে। সন্ধ্যার পর তা আরও জমজমাট হয়ে উঠে।

বৃহস্পতিবার যমুনা ফিউচার পার্কে আড়ংয়ের আউটলেটে গিয়ে দেখা গেল, পুরো আড়ং যেন লোকারণ্য। ছেলেদের ঈদের প্রধান আকর্ষণ পাঞ্জাবি। আড়ংয়ে এবার সুতি, সিল্ক মিলিয়ে বাহারি সব পাঞ্জাবি এসেছে। ১৫০০ থেকে ৮০০০ টাকায় পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে এখানে। মেয়েদের পোশাকে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ ঘিরেই আগ্রহ সবার। আছে শিশুদের বাহারি সব পোশাকও।

কে ক্রাফটের শোরুমে গিয়ে দেখা গেল-সাদা, কালো, লাল, নীল, সবুজ নানা রংয়ের পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে সেখানে। যেগুলোর দাম ১২০০-১৫০০ টাকা। এখানে ফতুয়া পাওয়া যাচ্ছে ৮০০-১২০০ টাকায়। পায়জামা ৭৯০-১০০০ টাকায়। ছেলেদের পোলো শার্ট ৬৯০-৮২৫ টাকায়। মেয়েদের বাহারি ও অসাধারণ সব মটিফের সালোয়ার কামিজ পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০০-৮৫০০ টাকায়।

কুর্তি ১২০০-৫৫০০ টাকায়। সুতি শাড়ি ২২০০-৩৫০০ টাকায়, হাফ সিল্ক ২৫৯৫-৬৫০০ টাকায়, সিল্কের শাড়ি ৭৫০০-১৫০০০ টাকায়। এখানে আরও আছে ঈদের বিশেষ আকর্ষণ ফ্যামিলি ড্রেস। পরিবারের বাবা, মা সন্তানদের জন্য একই ডিজাইনের এই ফ্যামিলি ড্রেস পাওয়া যাবে ৬৮০০-৩০ হাজার টাকায়। কে ক্রাফটের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার শাহজাহান ফিরোজ যুগান্তরকে বলেন, ইতোমধ্যে ঈদের কেনাকাটা পুরোপুরি শুরু হয়েছে। আমাদের এখানে যারা কেনাকাটা করছেন তারা অনেক ব্যাংকের কার্ডে ডিসকাউন্ট পাচ্ছেন।

ইনফিনিটিতে এবার ঈদে মেয়েদের জন্য এসেছে সালোয়ার কামিজ। যেগুলোর দাম রাখা হয়েছে ৩৫০০-৫০০০ টাকা। আনস্টিচ ড্রেসের দাম ৪০০০-৮০০০ টাকা। সুতি শাড়ি ২২০০-৯০০০ টাকা। সিঙ্গেল কামিজ ১৬০০-৩০০০ টাকা, ওয়েস্টার্ন টপ ১৪৫০-২০০০ টাকা। ইনফিনিটিতে ছেলেদের জন্য নানা ধরনের পাঞ্জাবি এসেছে। সাদা, এমব্রয়ডারির এসব পাঞ্জাবির দাম পড়বে ২৫০০-৬০০০ টাকা। পোলো শার্ট, টি-শার্ট, ক্যাজুয়াল শার্টের দাম ১১০০-২৫০০ টাকা। গ্যাভার্ডিনের প্যান্টের দাম এখানে ২৫০০-৩০০০ টাকা। জিন্সের প্যান্ট ২৫০০-৪৫০০ টাকা। ইনফিনিটির প্রডাক্ট ম্যানেজার মো. মাসুদ কায়সার নাদিম এসব তথ্য জানান।

অঞ্জনসে সুতি, সিল্ক, জামদানি শাড়ির নতুন নতুন কালেকশন এসেছে। যেগুলোর দাম ১২০০-২০ হাজার টাকা। একই ধরনের কাপড়ের তৈরি সালোয়ার-কামিজের দাম পড়বে ৩৬০০-৮০০০ টাকা। সিঙ্গেল কামিজের দাম ১২৫০-২৯৯০ টাকা। ছেলেদের ফ্যাশনেবল পাঞ্জাবির দাম ১৫৫০-৪৯৯০ টাকা। এসব পাঞ্জাবি সুতি ও সিল্ক কাপড়ের। এখানে ফতুয়া পাওয়া যাচ্ছে ৯৯০-১৪৫০ টাকায়। টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে ৫৯০-৯৯০ টাকায়। পোলো শার্ট পাওয়া যাচ্ছে ৯৯০-১২৯০ টাকায়। হাফ শার্ট কেনা যাবে ৭৫০-১২৫০ টাকায়।

নবরূপায় এমব্রয়ডারি ও কারচুপি নায়রা কাটের থ্রিপিস পাওয়া যাচ্ছে ২৫০০-৪৫০০ টাকায়। পাকিস্তানি, ভারতীয় ও তাদের নিজস্ব আনস্টিচ থ্রি-পিস মিলছে ১২০০-৯০০০ টাকায়। এখানে প্যাটার্ন-নির্ভর কুর্তি পাওয়া যাচ্ছে ১২০০-৩০০০ টাকায়। নবরূপায় টাঙ্গাইল, জামদানি কাজ ও কাশ্মীরি কাজের সুতি শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে ১০০০-৫০০০ টাকায়। সাদা ও প্যাটার্ন-নির্ভর পাঞ্জাবির অনেক কালেকশন এনেছে তারা। যেগুলো দাম পড়বে ১৬৫০-৫০০০ টাকা। পোলো শার্ট, হাফ শার্ট, ফরমাল শার্টের দাম পড়বে ১০০০-৩০০০ টাকা।

যমুনা ফিউচার পার্কে ইয়েলোর আউটলেটে ফ্যাশনেবল ও ট্রেন্ডি পোশাকের পসরা নজর কাড়বে সবার। ঈদ উপলক্ষ্যে ইয়েলোতে ছেলেদের পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে ২২০০-৪০০০ টাকায়। শার্ট ১৭০০-২০০০ টাকায়। ফতুয়া ১৫০০-১৯০০ টাকায়। মেয়েদের পোশাকের মধ্যে থ্রি পিসের দাম ৪০০০-৬৫০০ টাকা। ওয়ানপিস ১৭০০-৩৫০০ টাকা। শাড়ি মিলছে ৩৫০০ টাকায়।

যমুনা ফিউচার পার্কে ঈদের কোনাকাটা করতে আসা মাহজাবিন সাবিহা বলেন, ‘এখানে কেনাকাটা বেশ আরামদায়ক। ঈদে সবাই চায় নিজেকে একটু আলাদাভাবে সাজাতে। যার যার রুচি অনুযায়ী ট্রেন্ডি ও লেটেস্ট কালেকশনের পোশাক যমুনা ফিউচার পার্কের পোশাকের ব্র্যান্ডগুলোতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। নিজের ও পরিবারের জন্য কেনাকাটা করেছি।’

যমুনা ফিউচার পার্কের মেট্রো ফ্যাশন, বিগ বস, ফ্রিল্যান্ড, জিন্স অ্যান্ড কোম্পানি, টুয়েলভ, রেড, সেলিব্রেশনস, ডিমান্ড, মাইশা ওয়ার্ল্ড, একসটাসি, জেন্টল পার্ক, টিন’স ক্লাব, প্লাস পয়েন্ট, কান্ট্রি বয়, রেঞ্জ, সিক্স লাইফ স্টাইল, লা রিভ, আর্টিসান, টপ টেন মার্ট পোশাকের ব্র্যান্ড ও শপগুলোতে এদিন প্রচুর ক্রেতা সমাগম দেখা যায়।

যমুনা ফিউচার পার্কে যারা আসছেন তারা ১০০০ টাকার কেনাকাটা করলেই পেয়ে যাচ্ছেন একটি ভাউচার। যার তথ্য যমুনা ফিউচার পার্কের অ্যাপে যুক্ত করে প্রতিদিন মিলছে গিফট।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম