Logo
Logo
×

সালতামামি

ফিরে দেখা ২০২৪

চব্বিশে প্রাণ হারাল ১১৯

ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ও মহাসড়ক

Icon

আব্দুল মান্নান, ভাঙ্গা (ফরিদপুর)

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গত ১ বছর (২০২৪) ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে ও মহাসড়কে ১০১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশু- কিশোর ছাত্র, শিক্ষক, ২ বন্ধু, সাংবাদিক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ ১১৯ জন নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩ শতাধিক লোক এবং পঙ্গুত্ব বরণ করে ১১২ জন লোক। এছাড়া ভাঙ্গা লোকাল থানা ও রেলওয়ে থানা সূত্রে আরও জানা যায়, গত এক বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রায় ১০ জন লোক নিহত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ফিডার সড়কের ইজিবাইক-মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন, ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই আব্দুল্লাহেল বাকী, ভাঙ্গা লোকাল থানা, শিবচর হাইওয়ে থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জ ও ভাঙ্গা রেলওয়ে থানা।

জানা যায়, ঢাকা-ভাঙ্গা হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে, ফরিদপুর-বরিশাল ও ভাঙ্গা-খুলনা মহাসড়কের দুর্ঘটনা এখন নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সড়কে প্রতিদিন ছোট বড় মিলে প্রায় ৪০/৫০ হাজার যানবাহন চলাচল করে থাকে। মহাসড়কে দুর্ঘটনায় স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, কিশোর, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশু-কিশোর, সাংবাদিকসহ এক বছরে ১১৯ জন মানুষ নিহত হয়েছে ও গুরুতর আহত হয়েছে প্রায় ৩০০ জন মানুষ। গত কয়েকদিনে একের পর এক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সড়কে ঝড়ছে প্রাণ। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ৫টি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৮ জনের এবং আহত হয়েছে আরও ৫ জন। তাদের মধ্যে ৬ জনই কিশোর ও তরুণ রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর বিকালে ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের সলিলদিয়া এলাকায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ডাম্প ট্রাকের বেপরোয়া গতিতে প্রাণ হারায় মোটরসাইকেলে থাকা ইমন খালাসী ও রমজান ওরফে তৌকির নামে দুই বন্ধু। এর দুদিন পরে ৯ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের নাগারদিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় মারা গেছে আরও দুই বন্ধু। তারা আশফোরদি গ্রামের হাবিব সরদারের ছেলে তাজিম সরদার ও পশ্চিম আলগী গ্রামের সেন্টু মাতুব্বরের ছেলে শাওন মাতুব্বর। ১৬ ডিসেম্বর বিকালে ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়কের নওয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাস চাপায় মারা গেছে দুই বন্ধু। সে আলীপুর এলাকার খন্দকার বজলুর রহমানের ছেলে খন্দকার মামুনুর রহমান এবং অপরজন চরভদ্রাসন উপজেলার খালাসীডাঙ্গা গ্রামের পরোশ কাপাসিয়ার ছেলে দীপক কাপাসিয়া গোপি।

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কটি সংকীর্ণ এবং বিভিন্ন বাঁক থাকায় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া এ সড়কে পথচারী চলার মতো কোনো ফুটপাত না থাকায় প্রতিনিয়ত পথচারীরা রাস্তা চলাচলে আতঙ্কে থাকেন। এ ব্যাপারে ফরিদপুর সড়কে লোকাল বাসের চালক শাহিন শিকদার বলেন, ভাঙ্গা থেকে মাদারীপুরের টেকেরহাট পর্যন্ত রাস্তার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। রাস্তাটি এমনিতেই সংকীর্ণ। সেই রাস্তার একপাশের তিন ফুট জায়গা গর্ত করে নির্মাণ কাজ চলছে। এতে রাস্তার প্রশস্ততা কমে গেছে। ফলে বেড়ে যাচ্ছে দুর্ঘটনা। এ বিষয় ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান আইন-শৃঙ্খলা সভায় পুলিশের প্রতি উদ্দেশ্য করে বলেন, কিশোর ও লাইসেন্সবিহীন মোটরবাইক চালকদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম