ফিরে দেখা ২০২৪
বছরজুড়ে আলোচনায় এমপি আনার হত্যা
শাহরিয়ার আলম সোহাগ, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ)
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ-সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ড ছিল জেলার আলোচনার শীর্ষে। পরিবারের দাবি, ২০২৪ সালের মে মাসের ১১ তারিখে সংসদ-সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় যান। তবে তিনি ঠিক কি কারণে ভারতে গিয়ে ছিলেন তা নিয়ে রয়েছে ধুম্রজাল। ৭ মাসেও হত্যাকাণ্ডের কারণের জট খোলেনি। এই সংসদ হত্যা নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতা কারাগারে। যা ছিল বছরজুড়েই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
জানা গেছে, ১২ মে চিকিৎসার কথা বলে ভারতে যান আনোয়ারুল আজীম আনার। ওই দিন দুপুরের দিকে ঝিনাইদহ থেকে সড়কপথে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে দর্শনা চেকপোস্ট পর্যন্ত যান। পরে দর্শনা-গেদে ইমিগ্রেশন পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন তিনি। এরপর একটি ভ্যানে চড়ে রওনা দেন ভারতের অভ্যন্তরে। কলকাতায় গিয়ে এমপি আনোয়ারুল আজীম তার কথিত বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে উঠেছিলেন। কলকাতার অদূরে ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকার বরাহনগর থানার মন্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাসের বাড়ি। এই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার দুই দশকের বেশি সময় ধরে সখ্য ছিল।
১৪ মে থেকে পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আজীমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটিও বন্ধ ছিল। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও কলকাতায় উপদূতাবাসে যোগাযোগ করে খোঁজ নিতে বলা হয়। এদিকে ১৮ মে কলকাতার বরাহনগর থানায় লিখিত ‘মিসিং ডায়েরি’ করেন গোপাল বিশ্বাস। এরপর ২২ মে দুপুরের দিকে কলকাতা গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয় কলকতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জীবা গার্ডেনে হত্যা করা হয়েছে এমপি আনারকে। মুহূর্তের মধ্যেই খবর চলে আসে এলাকায়। নেতাকর্মীরা ভিড় করতে থাকে এমপির বাসভবনের সামনে। এরপর থেকেই এমপি আনার হত্যার জড়িতদের শাস্তির দাবি ওঠে। এমপি আনারের একটি লাশের ছবি পাঠানো হয় জেলা আওয়ামী লীগের দুই নেতার কাছে। হৈচৈ পড়ে যায় জেলাজুড়ে। গত ৬ জুন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের আগে গ্যাস বাবুর ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। সেই মোবাইল উদ্ধার করতে ঢাকা থেকে ঝিনাইদহ আসে তখনকার ডিবি প্রধান হারুন। কিন্তু কোন মোবাইল উদ্ধার করতে পারেনি।