জুলাই বিপ্লবে দেশে প্রথম কারফিউ ভেঙে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ অবরোধ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ আন্দোলনে শহিদ হন তিনজন। ২০২৪-এ দেশজুড়ে আলোচিত ছিল ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ২০ জুলাই বিপ্লবের এ ঘটনা। এ আন্দোলনে গৌরীপুর থানার ওসি সুমন চন্দ্রও গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আন্দোলনকারী প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৪টি মামলায় সহস্র্রাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ২৭ জুলাই শনিবার আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে শহিন হন ৩ জন। তারা হলেন ডৌহাখলা ইউনিয়নের চুড়ালী গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে বিপ্লব হাসান, মইলাকান্দা ইউনিয়নের পূর্বকাউরাট গ্রামের জোবায়ের আহম্মেদ এবং রামগোপালপুর ইউনিয়নের দামগাঁও গ্রামের নুরে আলম সিদ্দিকী রাকিব। পুলিশের ছোঁড়া বুলেটে ক্ষত-বিক্ষত হন আন্দোলনকারীরা। এখনো শরীরে রাবার বুলেট নিয়ে জীবনযুদ্ধ করছেন তাদের অনেকেই। এদের মধ্যে একজন হলেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল খালেক মুনশীর ছেলে বাহালুল মুনশী। এ আন্দোলনে গৌরীপুরে আহত হয়েছেন ৬২ জন। উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রকাশিত আহতদের তালিকায় যারা রয়েছেন, তারা হলেন- অর্পিতা কবির এনি, আফরোজা আক্তার, ফারুক আহমেদ নিলয়, শিপন আহমেদ শ্রাবণ, জুনায়েদ, বিজয় বারই, মোশাররফ হোসেন, মাজহারুল ইসলাম, সোহেল রানা, বাহালুল মুন্সি, আপন মিয়া, ছোটন মিয়া, ফয়সাল মিয়া, বিল্লাল হাসান, বুলবুল মিয়া, আমিনুল হক, রোপন মিয়া, ইমন, মেহেদী হাসান, বিজয় চন্দ্র সরকার, হৃদয় মিয়া, শাহীন খান, নুর আলম, আশাদুল ইসলাম, ইব্রাহিম মিয়া, আমির হামজা, খাদেমুল মন্ডল, রিয়াজ ফকির, নুরুল আমিন ইসলাম স্বপন, আশরাফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মাসুম, রবিকুল ইসলাম, রহিম আকন্দ, রাকিব আকন্দ, অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম, ইমরান হাসান, বিল্লাল আহাম্মেদ, রফিকুল ইসলাম রাকি, মানিক মিয়া, আকিব হোসেন, এবিএম মাহমুদুল হাসান মিম, জাহাঙ্গীর আলম, মঞ্জুরুল হক, লাদেন মিয়া, সুমন মিয়া, গোলাম রাব্বি, নিজাম উদ্দিন, শামিম মিয়া, মোজাম্মেল হোসেন, জিল্লুর রহমান, আরিফুজ্জামান, নুরুজ্জামান, হৃদয় মিয়া, কারিমুল হাসান শিমুল, মোশারফ আলী, খায়রুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম আকন্দ, জাহাঙ্গীর, সোহেল, লিটন মিয়া, আব্দুল খালেক মিয়া, রাকিবুল ইসলাম রাজু।