
প্রিন্ট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম

জান্নাতে নাঈম
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
বরুণ গাছ. চলনবিল অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে এ গাছটি পানিভাত। প্রত্যেক বাড়ির আঙিনাতে দেখা মেলে। কষ্টসহিষ্ণু এ বৃক্ষটি জলাধারের মধ্যে বেঁচে থাকে। নিধুয়া পাথারেও দশ পনেরো ফুট পানির মধ্যে টিকে থাকে। এর ডালপালা বেশ ছড়ানো। শীতে গাছের সব পাতা ঝরে যায়। বসন্তের শেষদিকে নতুন পাতার সঙ্গে ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় গাছ।
বরুণ বা ক্রাটেভা রক্সবুর্গী ফুল ফোটা অবস্থায় এর সৌন্দর্য যেন ঠিকরে পড়ছে। বরুণের বৃত্তান্ত জানতে ফোন করি প্রকৃতি বিষয়ক লেখক মৃত্যুঞ্জয় রায়কে। তিনি বলেন, ‘সব ফুলেরই কমবেশি মধু আছে। বরুণেরও মধু আছে।’ এখন তো হরমোন দিয়ে ফল পাকানো হয়। অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করার কারণে ফলের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। শুধু রঙটা ভালো দেখায়। কিন্তু এক সময় বরুণের পাতা দিয়ে আম পাকানো হতো। এতে ফলের কোনো ক্ষতি হয় না। স্বাদটি ঠিক থাকে।’ ভারত, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আদি এ বৃক্ষটি দারুণ ওষধিগুণসম্পন্ন। এ গাছের পাতা চর্মরোগ, ব্যথা, বাত নিরাময়ে ব্যবহার হয়। শিকড়ের বাকলের নির্যাস গ্যাস্ট্রিক রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। কাঁচা ফল রান্না করে সবজি হিসাবে খাওয়া গেলেও এ গাছটির চাহিদা খুব কম। বরুণের বৈজ্ঞানিক নাম crateva nurvala, cwievi Capparaceae। ইংরেজি নাম Three leaved Caper।