Logo
Logo
×

ঘরে বাইরে

রোজায় সঠিক ডায়েট প্ল্যান

Icon

ফারিন সুমাইয়া

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজানের বাকি মাত্র আর কয়েকদিন। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ এ মাসে শুধু আত্মশুদ্ধিই না বরং শারীরিক এবং মানসিক ভাবেও আসে বিশাল পরিবর্তন। মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের আশায় বান্দা পানাহার থেকে নিজেকে বিরত রাখে লম্বা সময় পর্যন্ত। তাই হঠাৎ করেই আসে জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন অংশে বিশাল পরিবর্তন। কাজেই নিজেকে সুস্থ রেখে কিভাবে পরিমিত খাবার এবং সঠিকভাবে এ সময়কে কাজে লাগিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন ডায়েট প্ল্যান-তাই জানিয়েছেন পারসোনা হেল্থ, ধানমন্ডি ঢাকার ডায়েটিশিয়ান অ্যান্ড ইনচার্জ শওকত আরা সাঈদা (লোপা)।

রোজায় ভাজাপোড়া যতদূর সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। লম্বা সময় পর্যন্ত না খেয়ে থাকার কারণে এমনিতেই কম-বেশি সবারই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া ইফতারে অনেক বেশি খাবার একসঙ্গে না খেয়ে চেষ্টা করুন ফলের জুস রাখার। প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখতে পারেন তালিকায়। এর বাইরে সালাদের অপশন অল্পতেই ভালোভাবে পেট ভরাতে সাহায্য করে। এর বাইরে যাদের একেবারেই ভাজাপোড়া না হলে ইফতার অপূর্ণ থেকে যায়, তারা চাইলে কোনোদিন একটি বেগুনি, কোনোদিন একটি পেঁয়াজুর সঙ্গে সালাদ অথবা একটা আলুর চপ একেক দিন পালটে পালটে খেতে পারেন। এছাড়া দইয়ের সঙ্গে মৌসুমি মিষ্টি ফল মিশিয়ে একটা ফলের সালাদের মতো আইটেম বানিয়ে রাখতে পারেন। খাবার সময় নিয়ে ভালো করে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইফতারে অল্প খাবার যেমন পানি, শরবত, ডিম, একবাটি ছোলা খেয়ে নিয়ে এরপর নামাজের শেষে সময় নিয়ে ফলের সালাদ সঙ্গে বাকি খাবারগুলো খেতে পারেন। চেষ্টা করবেন যত আগে রাতের খাবারের অংশটুকু শেষ করা যায়। খাবার খেয়েই যাতে একটু পাঁচ-দশ মিনিট হাঁটাহাঁটি করতে পারেন তার জন্য সময় রাখুন। এছাড়া রোজায় আরেকটি বড় সমস্যা হয় শরীরে পানির অপূর্ণতা। তাই ইফতার থেকে সেহরির পুরো সময়কে পানি পানের জন্য ভাগ করে নিন। সেহরিতেও অনেকে ভারি খাবার, ভাজাপোড়া খেয়ে থাকেন। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সেহরিতে আপনি ওটস, দুধ, দই রাখতে পারেন খাবার তালিকাতে। যারা ভাত খেতে পছন্দ করেন তারা অল্প ভাত খেয়ে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে অল্প মসলার ঝোল জাতীয় তরকারি হজমের ক্ষেত্রে ভালো। রসালো সবজি যেমন লাউ, পেপে এ জাতীয় সবজির তরকারি অল্প মসলায় রোজায় সেহরিতে হতে পারে উপযুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবারের অংশ। এর বাইরে ইফতারের পরে খুব বেশি ক্ষুধা ভাব থাকলে খেজুর খেতে পারেন। শসার সালাদ রাখতে পারেন রাতের খাবারের সঙ্গে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম