সাজঘর
এ ঋতুতে ত্বকের যত্ন
ঘরেবাইরে ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গরমে নাজেহাল জনজীবন। রোদের প্রখরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভ্যাপসা গরম। ঠান্ডা-শীতল পানি কিংবা মিষ্টি শরবত কোনো কিছুতেই কমছে না গরমের পারদ। আর গরম মানেই নানা ঝামেলা। প্রতিদিনের কাজের মান যেমন কমছে তেমনি বাড়ছে অসুখ বিসুখ। কেবল ঠান্ডা সর্দি, জ্বর কাশিই না, ত্বকের সমস্যাও বাড়ছে দিনকে দিন। নানা রোগবালাই দেখা দিচ্ছে ত্বকে। র্যাশ, ব্রণের মতো নানা সমস্যার পাশাপাশি ত্বকের রুক্ষতা বেড়ে যাওয়া, ত্বক ডিহাইড্রেড হয়ে পড়ার মতো নানা সমস্যা তো আছেই। এছাড়া ছুটির দিনগুলোতে দাওয়াত কিংবা নানা আয়োজনে পার্টি কিংবা ঘোরাঘুরির মতো কতশত পরিকল্পনা থাকেই। তাই রোদে পোড়ার সম্ভাবনা থেকে শুরু করে বারবার মেকআপের কারণেও ত্বক তার মলিনতা হারায়। তাই ঘরেই এমনভাবে যত্ন নিতে হবে যাতে অল্প সময়ে হাতের কাছের সব টুকিটাকি জিনিসগুলোই হয়ে ওঠে আপনার ত্বক সুরক্ষার অন্যতম মাধ্যম। আর কীভাবে ঘরে বসেই রাখতে পারবেন ত্বক সুরক্ষিত, তাই জানিয়েছেন ভ্যালেন্টিনা বিউটি পার্লারের স্বত্বাধিকারী ও রূপবিশেষজ্ঞ খালেদা পারভীন সিনথিয়া।
ত্বকের যত্নে সুরক্ষা তৈরি করতে হবে একবারে গোড়া থেকেই। এ ক্ষেত্রে পানির কোনো বিকল্প নেই। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং ফল, সবুজ শাকসবজি খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। এছাড়া যারা বাইরে থাকেন কিংবা বাসা-বাড়িতেও থাকেন, রান্নাঘরে অনেকটা সময় কাটাতে হয় তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সানস্ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এতে করে রোদে পোড়া কিংবা গরমে যে বার্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা অনেকাংশেই কমে আসে। এর পাশাপাশি ঘরোয়াভাবে প্যাক তৈরি করে তাও ব্যবহারে ভালো উপকার পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে ফেসওয়াশ দিয়ে সবার আগে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। তবে অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে ফেসওয়াশ বেছে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সব ধরনের ত্বকে কটন প্যাডে গোলাপজল নিয়ে তা ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপরই আসে প্যাকের পালা। বেসনের সঙ্গে টমেটোর রস, কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখসহ সারা শরীরেই অ্যাপ্লাই করা যাবে। যাদের ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা আছে তারা মধুর জায়গায় কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে নেবেন। এ প্যাকটি ফ্রিজে রাখা যাবে না। বানিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাপ্লাই করে নিতে হবে। এছাড়া পাকা পেঁপে ব্লেন্ড করে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়েও আরও একটি প্যাক তৈরি করে নেওয়া যায়। এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে, চামড়ার ভাঁজ দূর হবে। আর যারা ত্বক একটু ডিপ ক্লিন করতে চান তারা মসুরের ডাল ভিজিয়ে তা পেস্ট করে কয়েক চিমটি হলুদ গুঁড়া, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়েও খুব সহজে একটি প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। এছাড়া যাদের হাতে একদমই সময় থাকে না তারা শসা ব্লেন্ড করে তার রস ফ্রোজেন করেও ত্বকে র্যাশের জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারেন। তবে সরাসরি ত্বকে অ্যাপ্লাই না করে একটু কটন প্যাডে রেখে আস্তে আস্তে ত্বকে র্যাশের জায়গাগুলোয় অ্যাপ্লাই করতে হবে। এর পাশাপাশি যাদের সেনসিটিভ স্কিন তারা বাইরের গরম থেকে এসে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলেও খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।