এখন গ্রীষ্মকাল। প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা যেমন বাড়ছে তেমনি গরমজনিত নানা অসুখ দেখা দিচ্ছে। মানুষের ত্বকেরও অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ঘামাচি আর অতিরিক্ত তাপে ত্বকের লালচেভাব হওয়াসহ আরও নানা উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু এতকিছুর প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য সব কাজে আমাদের প্রতিনিয়ত বাইরে যেতে হচ্ছে। দিনের বেলায় বাইরে রৌদ্রের তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি হয়ে থাকে। যেটা অসহ্যকর পর্যায়ে চলে যায়। এ অবস্থায় সাময়িক সমাধান হলো ছাতা ব্যবহার করা। ছাতা সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি এবং অতিরিক্ত রৌদের তাপ থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে।
ইতিহাস অনুসারে, আজ থেকে প্রায় ৩ হাজার বছর আগে চীন দেশে ছাতার প্রথম প্রচলন শুরু হয়। চীনে প্রথমে মেয়েরা ছাতার ব্যবহার শুরু করে। কিন্তু পরবর্তীতে কোরিয়াসহ পৃথিবীর সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে ছাতার ব্যবহার।
বাজারে বিভিন্ন রঙিন বাহারি ছাতা পাওয়া যায়। বয়স এবং লিঙ্গভেদে বিবেচনা করলে মেয়েরা লাল, সবুজ, হালকা কমলা, বেগুনি, বিভিন্ন প্রিন্টের পাতার নকশা ইত্যাদি রঙের ও ডিজাইনের ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। এ কালারগুলো তাদের ফ্যাশনের সঙ্গে মানানসই। অন্যদিকে ছেলেরা কালো, সিলভার, আকাশি বা নেভি ব্লু রঙের ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। তবে চাইলে ছেলেমেয়ে উভয়ে তাদের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে একই রঙিন ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। তবে শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য লম্বা ডাঁটওয়ালা ছাতাই বেশি উপযোগী। তবে ফ্যাশনের দিক থেকে কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ছোট ও সহজে বহনযোগ্য ছাতা। বাজারে ছোট ও বড় আকৃতির বিভিন্ন কোম্পানির ছাতা রয়েছে।
তবে রৌদ থেকে বাঁচতে ফ্যাশনের চেয়ে কালারের গুরুত্ব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে কম গাঢ় রঙের ছাতায় তাপ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। গাঢ় রঙের ছাতায় তাপ প্রতিরোধের ক্ষমতা অত্যাধিক। সেদিক বিবেচনায় তারা কালো রঙের ছাতাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। যদি কালো রং না পাওয়া যায় তখন নীল বা বাদামি রঙের ছাতার কথা বলছেন। এসব রং রৌদের অতিবেগুনী রশ্মি এবং অতিরিক্ত তাপ প্রতিরোধের বেশি কার্যকরী। তাই শুধু ফ্যাশনের কথা চিন্তা না করে ত্বকের সুরক্ষায়ও নজর দিতে হবে। যাতে ত্বকের কোনো ক্ষতি সাধন না হয় এ দাবদাহে।