যুবদল নেতার বাবাকে হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ
থানা ঘেরাওয়ের পর ছাড়া পেলেন কৃষকদল নেতা
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহীতে গুলিতে যুবদল নেতা সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাবা মো. আলাউদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় এক কৃষকদল নেতার সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ জন্য বুধবার সন্ধ্যায় ওই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নেওয়া হয়। খবর পেয়ে কৃষকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানা ঘেরাও করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কক্ষে গিয়ে কয়েকজন হট্টগোল করেন। তারা কৃষকদল নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। ছাড়া পাওয়া নেতার নাম আশরাফুল ইসলাম। তিনি রাজশাহী মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘থানায় আমাকে সন্দেহমূলকভাবে ধরে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। অথচ আমি কিছুই জানি না। যেহেতু আমি মহানগরের সেক্রেটারি, তাই কর্মী-সমর্থকরা থানায় গিয়েছিল। আমি সবাইকে বলে দিই কেউ পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবে না। কেউ খারাপ ব্যবহার করেওনি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
১৪ জানুয়ারি মধ্যরাতে শাহমখদুম থানার ভুগরইল মহল্লায় স্থানীয় যুবদল নেতা সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করা হয়। এ সময় দরজা ভেদ করে ঢুকে যাওয়া একটি গুলিতে আহত হন তার বাবা মো. আলাউদ্দিন। ১৫ জানুয়ারি তিনি হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ তথ্য পেয়েছে, মিন্টুর বাড়িতে যারা গুলি করেছিলেন তাদের দু-একজনের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছে কৃষকদল নেতা আশরাফুলের। এ সংক্রান্ত কললিস্টও পাওয়া গেছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছিল।
শাহমখদুম থানার ওসি মাসুমা মোস্তারিন বলেন, ‘আমরা কললিস্ট দেখে আশরাফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছিলাম। তিনি জানিয়েছেন, নেতা মানুষ হওয়া বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সঙ্গেই তার কথা হয়। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তর তদন্ত চলছে।’