রংপুরের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের দাবির মুখে চ২-৪৮-৩০ রংপুর প্রেস ক্লাবের নির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার প্রশাসকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন অধিদপ্তরের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ময়নুল ইসলাম।

এ সময় তিনি বলেন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রেশন আইন ও প্রেস ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে রংপুর প্রেস ক্লাবের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। রংপুর প্রেস ক্লাব সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি রেজিস্ট্রেশনকৃত সংগঠন। তাই নিয়মনীতি অনুসরণ করে এর কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা থাকলেও তা হয়নি। এ অবস্থায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।

রংপুর প্রেস ক্লাব ১৯৯১ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তরে আবেদন করে নথিভুক্ত হয়। এর পর থেকে প্রেস ক্লাবের সদস্য গ্রহণের ক্ষেত্রে বৈষম্য করে আসছিল ক্লাবের নেতারা। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে রংপুরে বৈষম্যবিরোধী সাংবাদিক আন্দোলনের ব্যানারে এবং রংপুরে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনসহ সাংবাদিকরা আন্দোলন করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সমাজসেবা অধিদপ্তর একটি উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটি প্রায় দেড়মাস ধরে তদন্ত অনুসন্ধান করে প্রেস ক্লাবের আনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ পায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জানুয়ারি সমাজসেবা অধিদপ্তর রেজিস্ট্রেশন আইনের আওতায় প্রেস ক্লাবের বিদ্যমান নির্বাহী কিমিটি বরখাস্ত করে আদেশ জারি করে। এর পর অধিদপ্তর রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ময়নুল ইসলামকে প্রশাসক নিয়োগ করে।

এ সময় রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরপিইউজের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, সাধারণ সম্পাদক ও রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান, সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজের সদস্য সচিব লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহবুব রহমান হাবু, রংপুর সিটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর মানিক, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মানিক, সাংগঠনিক সম্পাদক বাদশাহ ওসমানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।