রাজশাহী পাসপোর্ট অফিস
মানববন্ধনে আলটিমেটাম অনিয়মের বিরুদ্ধে
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
অফিস শুরুর আগেই বিশেষ কিছু ফাইলে সই করে দেন রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপপরিচালক রোজী খন্দকার। তারপর এসব ফাইলের পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের ছবি তোলার কাজ শুরু হয়। সাধারণ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অভিযোগ, দালালের মাধ্যমে যেসব ফাইল জমা হয় সেগুলোর কাজই শেষ হয় আগে। এমন অনিয়মের প্রতিবাদে বুধবার সকালে নগরীর শালবাগান বাজারে পাসপোর্ট অফিসের সামনে মানববন্ধন করে নাগরিক সমাজ।
পরে উপপরিচালক রোজী খন্দকারের সঙ্গে দেখা করেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। এ সময় অনিয়ম দূর করতে এক মাসের সময় বেঁধে দেন তারা। এই সময়ের মধ্যে নাগরিক ভোগান্তি দূর না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
‘ভুক্তভোগী রাজশাহীর সাধারণ জনগণ’-এর ব্যানারে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, ক্যাবের রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা সম্পাদক মাহমুদুল হক, নারীনেত্রী রোজিটি নাজনীন, সেলিনা বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, তারা লক্ষ্য করেছেন দালালের মাধ্যমে আসা বিশেষ ফাইলগুলো সরাসরি দোতলায় উপপরিচালক রোজী খন্দকারের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এসব ফাইলে সই করে দেন। তারপর দোতলাতেই সহকারী পরিচালক এসব ফাইল কম্পিউটারে এন্ট্রি করেন। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে ফাইলগুলো নিচতলায় চলে আসে। সেখানে ছবি তুলে পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা বাড়ি ফিরে যান। আর যারা দালালকে অতিরিক্ত টাকা দেন না তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েই থাকতে হয়।
তবে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা রোজী খন্দকারের কাছে গেলে তিনি সব অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দুর্নীতির প্রমাণ দেখাতে বলেন। এ সময় রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান হুঁশিয়ার দিয়ে বলেন, এক মাসের মধ্যে সব অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করে নাগরিক ভোগান্তি দূর করা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপপরিচালক রোজী খন্দকার যুগান্তরকে বলেন, পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালকের অনুমতি ছাড়া তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না।