যোগদান অনুষ্ঠানে জিএম কাদের
দেশে সফলভাবে বিরাজনীতিকরণ চলছে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে শনিবার বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য তৈয়েবুর রহমান জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন -যুগান্তর
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, দেশে সফলভাবে বিরাজনীতিকরণ চলছে। তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকার বা বেসামরিক সরকারের হাতে বিরাজনীতিকরণ হচ্ছে। সামরিক সরকার এলেই আগে রাজনীতিবিদরা বলতেন, সামরিক সরকার বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে রাজনীতি নষ্ট করছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ হচ্ছে প্রজাতন্ত্র। প্রজারাই দেশের মালিক। তারা যাকে খুশি তাকে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। প্রতিনিধিদের কাজ পছন্দ না হলে নির্বাচনের মাধ্যমে আবার প্রতিনিধি বদল করতে পারবেন তারা। এটাই প্রকৃত গণতন্ত্র। কিন্তু এখন দেশের শাসনকার্যে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে। দেশের মানুষের মতামতের কোনো দাম নেই। এখন জনগণের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছে না। নির্বাচনব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে।
শনিবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত যোগদান অনুষ্ঠানে জিএম কাদের এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়েবুর রহমান, সমাজসেবক কাজী মো. ফারুক (সেন্টু) এবং আবরার শিশির জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এ সময় তিনি বলেন, সঠিকভাবে নির্বাচন না হলে দেশের মানুষ দেশের শাসনব্যবস্থা থেকে দূরে চলে যায়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। জনসাধারণ যেন কথা বলতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন আইন করা হয়েছে। তাই এখন সাধারণ জনগণ প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারছেন না আবার জনগণ কথাও বলতে পারছে না। এখন রাজনীতি থেকে জনসাধারণ দূরে চলে গেছে।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এই শূন্যতা কোনো না কোনোভাবে পূরণ হবে। তাই দেশের রাজনীতিতে একধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। আগে যেমন নির্বাচনের আগে ফলাফল অনুমান করা যেত, এখন সেটা সম্ভব নয়। বিরাজনীতিকরণের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ। এই যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যারা বাধা দেবে, তারা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। আমরা দুর্নীতি, দুঃশাসন, অপরাজনীতি থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে চাই। আমরা বৈষম্য দূর করতে চাই। আমরা আইনের শাসন কায়েম করতে চাই।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান। উপস্থিত ছিলেন আহসান আদেলুর রহমান এমপি, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, লুৎফুর রেজা খোকন, যুগ্ম মহাসচিব মো. সামছুল হক, মো. বেলাল হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন তোতা প্রমুখ।