Logo
Logo
×

অল্পকথা

বাড়ি ভাড়া : নীতিমালা চাই

Icon

কাজী আবুল কাসেম

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আমাদের দেশে সাধারণত মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যত্তরা চাকরি বা ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণে সপরিবারে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। এসব মানুষের আয় হয়ে থাকে সীমিত বা নির্দিষ্ট, যা দিয়ে কোনোমতে পরিবার নিয়ে বসবাস করা সম্ভব হয়। বর্তমানে প্রায় সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে বলা চলে। এমন অবস্থায় পরিবারের উপার্জনকারী ব্যক্তিকে তার সামান্য আয় দিয়ে বাসা ভাড়া, গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল মিটিয়ে নিত্যপণ্যের বাজার করতে হয়; মেটাতে হয় চিকিৎসা ব্যয়; বহন করতে হয় সন্তানের লেখাপড়া, যাতায়াত ও অন্যান্য খরচ। আর এসব অত্যাবশ্যকীয় চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় একজন ভাড়াটিয়াকে।

এ অবস্থায় বছর বছর বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ স্বল্প-আয়ের মানুষ যারা চাকরি করে, তাদের উপার্জন বাড়ে না। তা সত্ত্বেও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বছর বছর বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি যেন অনেক বাড়িওয়ালার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বাড়তি ভাড়া দেওয়ার সামর্থ্য না থাকায় ভাড়াটিয়াদের বছর বছর বাসা পালটাতে হয়।

মধ্যবিত্ত মানুষ তাদের চাহিদা পূরণ করতে জীবনযাত্রার মাপকাঠিতে যেমন নিচে নামতে পারে না, তেমনই অর্থের অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করে বা ভালো কোনো চাকরি করে পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়। এর বড় কারণ বেকারত্ব। দেশে চাকরির বাজার খুবই কঠিন। এ অবস্থায় সাধারণ নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের আয়ের কথা চিন্তা করে মানবাধিকারের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আইনের মাধ্যমে বছর বছর বাসা ভাড়া বৃদ্ধির প্রবণতা রোধে সরকারকে নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। যেমন, ৫ বছর বা ১০ বছর পর বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, সরকার বছর বছর গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় আর এজন্য ভাড়াটিয়াকেই বাড়তি গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল গুনতে হয়, যা বাড়িওয়ালার ওপর বর্তায় না। নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের আয় বৃদ্ধিতে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। এ অবস্থায় সরকার নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের সামর্থ্যরে কথা চিন্তা করে বছর বছর বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি রোধে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে, এটাই প্রত্যাশা।

কাজী আবুল কাসেম : প্রাবন্ধিক

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম