Logo
Logo
×

সাহিত্য সাময়িকী

জগৎ এমনভাবে পরিবর্তিত হতে চলেছে যা আমরা পূর্বানুমান করতে পারছি না : রিচার্ড পাওয়ার্স

Icon

মেজবাহ উদ্দিন

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

জগৎ এমনভাবে পরিবর্তিত হতে চলেছে যা আমরা পূর্বানুমান করতে পারছি না : রিচার্ড পাওয়ার্স

আলো শুধু পতঙ্গকেই কাছে টানে না, মানুষকেও টানে। আর তাই তো বহু বর্ণের জীবন চায় তার নতুন সংজ্ঞা। জীবনের সেই দাবি মেটাতে বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি খাতে ঘটছে একের পর এক বিল্পব। আমেরিকান ঔপন্যাসিক রিচার্ড পাওয়ার্স-এর রচনাগুলো আধুনিক সময়ের সেই অনুষঙ্গ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে। তার উপন্যাস ‘দ্য ইকো মেকার’ ২০০৬ সালে ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড ফর ফিকশন জিতেছে। এছাড়া তিনি তার কর্মজীবনে আরও অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে ম্যাকআর্থার ফেলোশিপও অন্তর্ভুক্ত। তিনি ‘দ্য ওভারস্টোরি’ উপন্যাসের জন্য ২০১৯ সালে পুলিৎজার পুরস্কার লাভ করেন। রিচার্ড পাওয়ারের নতুন উপন্যাস ‘প্লে-গ্রাউন্ড’ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ভবিষ্যৎমূলক, মজাদার ও উদ্দীপক এক মন্তব্য, যেখানে একদল চিত্তাকর্ষক চরিত্রের জীবনের ছন্দগুলো ফরাসি পলিনেশিয়ার একটি দ্বীপ ম্যাকাটিয়াতে এসে মিলে যায়। পাওয়ার্স তার গল্পে গেমিং, ইন্টারনেট এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিবর্তনসহ গত অর্ধশতকের সামুদ্রিক পরিবেশের পরিবর্তনের চিত্র এঁকেছেন, যা সমুদ্রবিজ্ঞানী সিলভিয়া আর্ল ‘পৃথিবীর নীল হৃদয়’ বলে অভিহিত করেছেন। তার নতুন উপন্যাস ‘প্লে-গ্রাউন্ড’ নিয়ে লিট হাবে সম্প্রতি প্রকাশিত সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করেছেন মেজবাহ উদ্দিন

প্লে-গ্রাউন্ড-এর অনুপ্রেরণা কী ছিল?

: এ বইয়ের বীজটি ছিল একটি উপহার, যা আমার বড় বোন পেগ এখন থেকে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় আগে আমার দশম জন্মদিনে আমাকে দিয়েছিল। বইটি ছিল একটি প্রবাল প্রাচীর সম্পর্কে এবং আমি জানি না কেন বা কীভাবে তিনি এটি পছন্দ করেছিলেন। আমরা তখন উত্তর শিকাগোতে বাস করতাম, যেখানে আমাদের চারপাশের জগতের তুলনায় প্রবাল প্রাচীরের মতো বস্তুকে ভিনগ্রহী মনে হয়েছে। এর কয়েক বছর পর আমার বাবা, যিনি ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, নতুন চাকরির জন্য আমাদের পরিবারকে নিয়ে থাইল্যান্ডে চলে যান। সেখানে সাউথ চায়না সাগরে ডাইভিং করে আমি সেই বইয়ে দেখা অসম্ভব রিফগুলোর জগতে প্রবেশ করি। যার প্রভাবে এগারো থেকে ষোল বছর বয়সে আমি নিশ্চিত ছিলাম বড় হয়ে আমি একজন সামুদ্রিকবিজ্ঞানী হবো। কিন্তু পরে আমার পথ বেঁকে যায়।

প্রায় দুই বছর ছয় মাস আগে আমার বোন পেগ মারা গেছেন এবং আমি আমাদের এত বছরের স্মৃতিগুলোতে ডুবে গিয়েছিলাম, বিশেষ করে তার সেই দীর্ঘকালব্যাপী মমতা এবং জীবনকে তিনি যেভাবে হাসিখুশিভাবে উপভোগ করতেন। আমার মনে পড়ল তার সেই অদ্ভুত এবং স্মরণীয় উপহারটির কথা এবং কখন যে একটা গল্পগাথা শুরু করলাম তা টেরও পাইনি, যেখানে একজন ব্যক্তি, যে দশ বছর বয়সে সাগরতত্ত্ববিদ হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল, কিন্তু যার জীবন একেবারেই অন্য পথে চলে যায়।

কোভিড এবং এর পরবর্তী সংঘাতের এ কয়েক বছর আপনি কীভাবে কাটালেন-আপনার লেখালেখি, আপনার কাজ ও পরিবার এবং প্লে-গ্রাউন্ডের লেখালেখি ও প্রকাশনা?

: আমাদের সবারই নিজস্ব মহামারির গল্প রয়েছে, এমনকি যারা জঙ্গলে বাস করে তাদেরও। অনেকদিন ধরে আমি ভাইরাস থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পেরেছিলাম, কিন্তু ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত সংক্রমিত হলাম। আমার আগের উপন্যাস বিউইল্ডারমেন্ট-এর জন্য আমাকে ছয়টি দেশে দীর্ঘ ভ্রমণে যেতে হয়েছিল এবং আমার আয়োজকদের সব সতর্কতার পরও আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। বাড়ি ফিরে এসে দেড় বছরের জন্য আমি লং কোভিডে ভুগেছি, মস্তিষ্কের অস্পষ্টতা ও ক্লান্তিতে ভুগেছি, যা কয়েক মাস আগে থেকে খানিকটা কমেছে। অন্য কিছু করার শক্তি না থাকায় আমি স্মোকিজে আমার ট্রি-হাউজের কাছাকাছি থেকে এ উপন্যাসটি লিখি!

এ শিরোনামটি কোথা থেকে এসেছে (যে খেলাটির ভিত্তিতে এটি তৈরি)?

: এ উপন্যাসটি লেখার জন্য দুটি বই বড় ভূমিকা পালন করেছে-জোহান হুইজিঙ্গার ক্লাসিক হোমো লুডেন্স (১৯৩৮) এবং জেমস পি. কার্সের প্ররোচনামূলক বই ফিনিট অ্যান্ড ইনফিনিট গেমস (১৯৮৬)। খেলাধুলার ধারণাটি আমার পুরো বইটিকে আচ্ছন্ন করে আছে, যেখানে প্রধান চরিত্র দুটির মধ্যে আজীবনের প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে মাকাতেয়ার ভাগ্য নিয়ে উপনিবেশবাদ ও নব-উপনিবেশবাদের খেলা, সমুদ্রের প্রাণীদের খেলা এবং বিবর্তনের অনন্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূলে থাকা খেলার আনন্দ পর্যন্ত। ইন্টারনেটের প্রথম দিনগুলোর একজন অগ্রগামী একজন টড, তার বন্ধু রাফি ইয়ংয়ের কাছে থাকা তার প্রাথমিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটকে এমন একটি স্থানে পরিণত করার ধারণা পান যেখানে ব্যবহারকারীরা একে অপরের সঙ্গে মতামত ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে একটি কাঠামোবদ্ধ খেলার জগতে প্রতিযোগিতা করতে পারে। এমন একটি স্থানের জন্য প্লে-গ্রাউন্ড নামটি ফেসবুক বা রেডিটের মতোই আকর্ষণীয় মনে হয়েছিল!

কেন তাহিতীয় সৃষ্টিতত্ত্ব ‘তাআরোয়া (ফরাসি পলিনেশিয়ার সোসাইটি দ্বীপপুঞ্জের পৌরাণিক কাহিনিতে সর্বোচ্চ দেবতা) দিয়ে শুরু করেছেন, যিনি তার ঘূর্ণায়মান ডিমের ভেতর থেকে সবকিছুকে গতি দিয়েছিলেন?

: বইটির প্রথমে, বর্তমান দিনের নাটকটি মাকাতেয়া দ্বীপকে কেন্দ্র করে, যা বিংশশতাব্দীর প্রথম দিকে প্রায় নিঃশেষিত হয়ে যায় ফসফেট শিলার জন্য। ফসফেট এমন একটি পদার্থ, যা দিয়ে সার তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয় এবং যেটি আধুনিক বিশ্বের জনসংখ্যার বৃদ্ধি সম্ভব করেছিল। এখন এ দ্বীপটি সিস্টেডিং (আন্তর্জাতিক জলে স্থায়ী আবাস তৈরি করা)-এর একটি ঘাঁটি তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে মুখোমুখি হতে হচ্ছে, যেমনটি সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তি কোটিপতিরা পছন্দ করেন, যারা অনেক নিয়ম এড়াতে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভাসমান শহর তৈরি করতে চান।

পলিনেশিয়ার (ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়া একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত ফরাসি অঞ্চল) বিস্ময়কর সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং বিশ্বাসের জগতে নিজেকে নিমগ্ন করার সময়, আমি আনন্দের সঙ্গে জানতে পেরেছি, অঞ্চলটির অনেক জায়গায় ঐতিহ্যবাহী দ্বীপের দেবতারা ক্রমাগত খেলা করেন। যেহেতু বইটি ‘ডিজিটাল যুগের’ সৃষ্টিতত্ত্ব এবং কীভাবে সেই যুগের ‘দেবতারা’ শেষ পর্যন্ত পলিনেশিয়ার প্রতি মনোযোগ দেন, এ কারণেই তাআরোয়ার আশ্চর্যজনক পৃথিবী সৃষ্টির কাহিনি দিয়ে বইটি শুরু করা আদর্শ বলে মনে হয়েছিল। বইটি হিব্রু বাইবেলের প্রবাদ থেকে শুরু হয়ে একটি প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ দিয়ে শেষ হয়; যেখানে পৃথিবীর সৃষ্টিও শিল্প এবং খেলার চেতনার সঙ্গে যুক্ত।

আপনি সাতান্ন বছর বয়সি টড কিন-কে একটি বিস্ময়কর লাইন দিয়ে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন: ‘আমার মস্তিষ্কে রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করার পরই মনে পড়ে গেল।’ টড ডিএলবি (লিউই বডি ডিমেনশিয়া) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, যা তার সেই তীব্র গতি থামিয়ে দেয় যেটা শুরু হয়েছিল যখন তিনি ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টার্ন ছিলেন। কীভাবে এ ডিমেনশিয়া প্লট তৈরি হলো? ডিএলবি-এর উপসর্গগুলো কীভাবে আপনার গল্পের সঙ্গে মিলেছে?

: আমি দুঃখিত যে, এ রোগের ব্যবহার এসেছে আমার একজন পরিবারের সদস্য এবং কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর অভিজ্ঞতা থেকে। এটি একটি ভয়ানক রোগ এবং এটি এমনভাবে আক্রান্তদের থেকে জ্ঞান এবং আত্মবোধ কেড়ে নেয়, যা দেখা সত্যিই মর্মান্তিক। টড সারা জীবন প্রোগ্রামিং এবং একটি বড় প্রযুক্তি কোম্পানি তৈরি করে যে দক্ষতা ও নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছিল, তা একটি রোগে ধ্বংস হয়ে যায়। এ গল্পের সব অংশ একটি অসাধারণ পরিপূর্ণতার সঙ্গে একত্রিত হয়েছিল, যা আমি কখনো সচেতনভাবে পরিকল্পনা করতে পারতাম না। এটি আমার চল্লিশ বছরের উপন্যাস লেখার অভিজ্ঞতায় প্রাপ্ত একটি নিখুঁত উপহার ছিল।

টড এবং রাফি ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়েস ক্যাম্পেইং-আরবানা’র রুমমেট, যেখানে আপনি ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক। কম্পিউটার স্টাডিজের জন্য এটি দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। এ উপন্যাসটি কীভাবে সেখানকার আন্তঃবিভাগীয় গবেষণার সুযোগ থেকে উপকৃত হয়েছে? সত্যিই কি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতীকী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘স্বর্ণযুগে’ এমন এক অগ্রগামী কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ ছিল, যেমন-টড উল্লেখ করেছেন? আপনি কী ধরনের গবেষণা করেছিলেন সিলিকন ভ্যালি এবং সিস্টেডিং বিষয়ে?

: ইলিনয়ের ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়েস, ক্যাম্পেইং-আরবানা ‘তৃতীয় শিল্প বিপ্লব’-এ কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছে (যদিও অনেক সময় তেমন প্রচার পায়নি), বিশেষ করে ওয়েবের শুরুর দিকে। প্রথম প্রাফিকাল ওয়েব ব্রাউজার এখানে তৈরি হয় এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ, সাইট এবং পরিবেশের প্রোটোটাইপ তৈরি করা হয়, যা মানবজীবনের প্রতিটি দিককে রূপান্তরিত করেছে। স্ট্যানফোর্ড এবং এমআইটি সাধারণত অধিকাংশ কৃতিত্ব পায়, কিন্তু ইলিনয়েস ছিল উল্লেখযোগ্য; তবে কিছুটা আড়ালে থাকা একটি তৃতীয় শক্তি। আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম, যখন টড যেসব সাফল্যের সাক্ষী হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছিল। সেই বছরগুলোতে ফিরে তাকানো এবং নিজেদের আবিষ্কারগুলো আমাদের পরিবর্তন করার আগে আমরা কারা ছিলাম, তা কল্পনা করার এক ধরনের পুনঃসৃষ্টির কাজ ছিল এটি।

ইনা আরোইটা একজন ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবাসী’ যিনি ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসেছেন, যেখানে তিনি প্রথম তুষারপাত দেখেন, টডের নজর কাড়েন এবং রাফির প্রেমে পড়েন। পরে, মাকাতেয়ার দ্বীপের নির্জনতা পূর্ণ পরিবেশে আমরা তার শিল্পী, তাঁতি, মা ও সমাজনেত্রী হিসাবে গড়ে ওঠা জীবনকে প্রত্যক্ষ করি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের বিকল্প প্রদর্শনকারী ইনার জগৎ গঠনে কী ধরনের গবেষণা জড়িত ছিল? আপনি কি মাকাতেয়াতে সময় কাটিয়েছেন?

: যখন আমি থাইল্যান্ডে বড় হচ্ছিলাম, তখন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ও দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণ করেছি (যদিও ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়াতে কখনোই যাইনি), পর্যটক এবং সংগীত শিল্পী হিসাবে। আমি ক্ল্যারিনেট, ব্যারিটোন স্যাক্সোফোন এবং বেস গিটার বাজাতাম এবং আমি দুটি আলাদা আলাদা আন্তর্জাতিক স্কুল ব্যান্ডের সঙ্গে গেয়েছিলাম, যারা এশিয়াজুড়ে ভ্রমণ করত। সেই বিস্তৃত মহাসাগর সম্পর্কে যা কিছু সম্ভব পড়ার চেষ্টা করেছি এবং ওয়েব আরও অনেক কিছু দেখা, শোনা এবং শেখা সহজ করেছে, যা ঠিকমতো নথিভুক্ত হয়নি। তবে ইনাকে গঠনে অনেক কিছুই আমি দুটি বাস্তব প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপবাসী মেয়েদের কাছ থেকে নিয়েছি, যাদের সঙ্গে আমি ব্যাংককে উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়েছি এবং প্রেমে পড়েছিলাম। এটি আমার জন্য বিশেষ কিছু ছিল, তাই তাদের ভাবনা আমার স্মৃতিতে জীবন্ত রয়ে গেছে, যদিও তাদের সঙ্গে শেষবার কথা বলেছি আমার আঠারো বছর বয়সে।

এখন পরবর্তী কী প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন?

: আগামী তিন মাসের জন্য আমার প্রধান প্রজেক্ট প্লে-গ্রাউন্ডের জন্য দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করা। এটি পুরো উপন্যাস তৈরির প্রক্রিয়ার সবচেয়ে পরিশ্রমী এবং একজন ইন্ট্রোভার্টের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ, যিনি একা জঙ্গলে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। যদিও আমার নতুন একটি গল্প লেখা চলছে, আমি অনুভব করছি লেখার প্রতি আমার মনোভাব আবারও পরিবর্তিত হচ্ছে এবং আমি নিশ্চিত নই যে, আমি বর্তমান প্রক্রিয়ায় প্রকাশনা চালিয়ে যাব কিনা। সৃষ্টির জগৎ এমনভাবে পরিবর্তিত হতে চলেছে, যা আমরা কেউই পূর্বানুমান করতে পারছি না। আগামী কয়েক বছরে চমকপ্রদ অনেক কিছু তৈরি হবে এবং আমরা হয়তো এর জন্য প্রস্তুত নই। আমি এ খেলার অগ্রগতির দিকে তাকিয়ে থাকব এবং যতদিন পারি শব্দ দিয়ে এটি ধরে রাখার চেষ্টা করব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম