বেতার একটি সুস্থ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকালে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মুজিবনগর ছিল বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী। এ জেলার রয়েছে গর্ব করার মতো অনেক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। অথচ এ জেলায় বাংলাদেশ বেতারের কেন্দ্র নেই, বিষয়টি ভাবতেই কষ্ট হয়। ভৌগোলিকভাবে কুষ্টিয়া খুলনা বিভাগের একেবারে শেষ প্রান্তের জেলা। কুষ্টিয়ার প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ জনপদের মানুষ খবর কিংবা বিনোদনের জন্য এখনো অনেকাংশে বেতারের ওপর নির্ভর করে। এ অঞ্চলে খুলনা বেতারকেন্দ্রের অনুষ্ঠান একরকম শোনা গেলেও রাজশাহী বেতারকেন্দ্র, ঢাকা ‘খ’ ও ‘গ’ বেতারকেন্দ্রের অনুষ্ঠান শোনা যায় একেবারেই অস্পষ্ট। অপরদিকে ভারতের কলকাতা কেন্দ্রের অনুষ্ঠানও অস্পষ্টভাবে শোনা যায়। এখানে বাংলাদেশ বেতারের একটি কেন্দ্র স্থাপন করা হলে বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও এর আশপাশের জেলা থেকে বহু প্রতিভা তৈরি হবে। এ অঞ্চলের শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি শিক্ষা, বিনোদন ও কৃষিভিত্তিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেতারকেন্দ্র বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব অর্জন করতে পারবে। কথাসাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন, বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁই, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য এ জেলা।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে বসবাস করেও আমরা বেতারের পরিপূর্ণ সেবা থেকে বঞ্চিত। এ অঞ্চলের অনেক মানুষ বেতারের পরিপূর্ণ সেবা উপভোগ করতে চায়। সার্বিক দিক বিবেচনা করে অবহেলিত কুষ্টিয়ায় বাংলাদেশ বেতারের একটি কেন্দ্র স্থাপন করে এ অঞ্চলের মানুষের বহুদিনের আশা পূরণ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মো. মোশতাক মেহেদী
সোনার তরী হাউজিং এস্টেট, কুষ্টিয়া