বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভিক্ষুকদের উপস্থিতি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেছে। ভিক্ষুকরা নিজেদের অসহায়তার কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা এমনভাবে আদায় করছে রীতিমতো তা চাঁদাবাজিতে পরিণত হয়েছে। তারা বিভিন্ন প্রকার শারীরিক অসুস্থতা, অভুক্ত থাকার অজুহাত দেখিয়ে টাকা আদায় করতে চায়। খাবার কেনার নাম করে টাকা আদায় করতে চাইলে যখন তাদের খাবার কিনে দেওয়ার কথা বলা হয়, তখন তারা নগদ অর্থ দিতে তাগিদ দেয়। প্রকৃতপক্ষে তারা কেন ভিক্ষা করছে এবং তাদের আসলেই কী অর্থের প্রয়োজন তা জানার কোনো সুযোগ নেই। অন্যদিকে কিছু নারী ভিক্ষুক ২-৫ টাকা নিতে আগ্রহী নয়, বরং তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত ভিক্ষার জন্য দাবি করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ছাড়াও এদের উপস্থিতি একাডেমিক ভবনগুলোয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে নবাগত শিক্ষার্থীরা। বড়দের পাশাপাশি ছয়-সাত বছরের ছেলেমেয়েদেরও দেখা যায় ভিক্ষার মতো নিকৃষ্ট কাজ করতে। এই শিশুদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল স্কুলে কিন্তু আজ তারা উপস্থিত রাবির শহীদ মিনার, ইতিহাস চত্বরসহ বিভিন্ন জায়গায়। পারিবারিক অসচ্ছলতা বা পরিস্থিতির শিকার হয়ে তারা শিক্ষার্থীদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে কিছু টাকা আদায়ের জন্য! যা কখনোই সভ্য সমাজের প্রতিচ্ছবি হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করা প্রয়োজন।
উম্মে সাবাইনা সুলতানা
শিক্ষার্থী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়