
প্রিন্ট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

বাসস
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: যুগান্তর
আরও পড়ুন
স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের পূর্ণোদ্যমে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এলডিসি উত্তরণবিষয়ক এক সভায় প্রধান উপদেষ্টা এ নির্দেশনা দেন।
পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে জানান, ‘অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন-এলডিসি উত্তরণের বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে। এখন পূর্ণোদ্যমে কাজ এগিয়ে নিতে হবে। সে অনুযায়ী যত ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার তা নিতে হবে। একইসঙ্গে সতর্ক থাকতে হবে এলডিসি উত্তরণের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো খাত যেন কোনো ধরনের ক্ষতির মুখে না পড়ে। পাশাপাশি এলডিসি উত্তরণের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ সুবিধা কীভাবে আদায় করা যায়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।’ এলডিসি উত্তরণের বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করতে একটি ডেডিকেটেড টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
শফিকুল আলম বলেন, অধ্যাপক ড. ইউনূস বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের উৎপাদন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার কথা বারবার বলে আসছেন। তিনি বলেছেন, এলডিসি উত্তরণের পরে এ কাজে যেন আরও গতি পায়।
২০২৬ সালেই এলডিসি উত্তরণ : প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা) উত্তরণে কোনো বাধা নেই। ফলে ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ করবে বাংলাদেশ। নীতিমালার মধ্যে কাজ করা হবে। সম্ভাব্য মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। করোনা না হলে ২০২৪ সালেই উত্তরণ হতো। মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং উপ-ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ড. আনিসুজ্জামান আরও বলেন, বর্তমানে আমরা শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত সুবিধা পাচ্ছি। এলডিসি উত্তরণ হলেও ২০২৬ সালে সেটি বন্ধ হয়ে যাবে না। কারণ ইতোমধ্যে অনেক দেশ বলেছে, তারা সুবিধা অব্যাহত রাখবে। যেমন বাংলাদেশের জন্য জটিল একটি বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা শুল্কমুক্ত সুবিধা ২০২৯ সাল পর্যন্ত দেবে। তাহলে আমরা কেন পিছিয়ে দেব। অস্ট্রেলিয়া বলেছে উত্তরণ হোক বা না হোক, বর্তমানে যে সুবিধা আছে, সেগুলো চলবে। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যও একই কথা বলেছে। আনিসুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা চীনে গিয়েছিলেন। চীন বলেছে বর্তমানে যে সুবিধা আছে, তা দিতে থাকবে। তার মানে হলো, এলডিসি নিয়ে ব্যবসায়ীরা যে কারণে চিন্তিত, সেটি ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। তিনি বলেন, এটা একটা বোঝার সমস্যা। আমাদের ‘প্লেন’ চলবে, ক্র্যাশ হওয়ার আশঙ্কা তেমন নেই। তবে আগে থেকে আমাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আমাদের ভিক্ষার মানসিকতা থেকে বের হতে হবে। আমরা এখন আর বিশ্ব দরবারে চাইব না বরং দেব। তারমতে, এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রধান চ্যালেঞ্জ সুশাসনের অভাব। তবে উত্তরণে কী সুবিধা পাওয়া যাবে সেই প্রশ্ন অবান্তর।
শফিকুল আলম বলেন এলডিসি উত্তরণের পুরো গতিতে আগাতে হবে। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক মনিটরিং জরুরি। তিনি বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার চেষ্টা চলছে। তার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান আছে। আর উত্তরবঙ্গে নেপালের জন্যও অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হবে।