
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
নববর্ষের প্রধান বৈশিষ্ট্য হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
সব জাতিসত্তার মানুষের অংশগ্রহণ এবং দলমতনির্বিশেষে সবার অংশগ্রহণে এবারের পহেলা বৈশাখের উদ্যাপনে ভিন্নমাত্রা পাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, এবারের নববর্ষের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-অন্তর্ভুক্তিমূলক। এজন্য প্রস্তুত পাহাড় থেকে সমতল পুরো দেশ। গণ-অভ্যুত্থানের পর বড় পরিসরে চৈত্র বিদায় এবং বাংলা নতুন বছরকে বরণের উৎসবের আয়োজন করেছে সরকার।
বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈশাখের আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুকী। ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি। ফারুকী বলেন, এ বছর আমরা অল ইনক্লুসিভ নতুন বছর উদ্যাপন করতে যাচ্ছি। সব জাতিগোষ্ঠী এটাকে সাদরে গ্রহণ করছে। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতায় যে অনুষ্ঠানগুলো হচ্ছে বা বেসরকারি উদ্যোগেও হচ্ছে। কিন্তু ফ্ল্যাগশিপ অনুষ্ঠান বলতে যা বোঝায়, এবার সেটা হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের কালচারাল ফিলোসফি কী, কেন আমরা এটা করছি। আমাদের সরকারের সব কাজের পেছনে দুটি ব্যাপার কাজ করে। একটা হচ্ছে কালচারাল হিলিং, আরেকটা হচ্ছে কালচারাল ইনক্লুসিভনেস। আমরা দীর্ঘদিন বিভাজনের মধ্যে ছিলাম। একটা গোষ্ঠীর সঙ্গে আরেকটি গোষ্ঠীর দূরত্ব, সংশয়, অবিশ্বাস ছিল। সেটা থেকে হিলিংয়ের একটা ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাহাড় থেকে সমতল, সারা দেশ ও ঢাকার চৈত্রসংক্রান্তিতে কী কী আয়োজন, তা সংক্ষেপে তুলে ধরেন ফারুকী। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উৎসবগুলো চৈত্রসংক্রান্তি ঘিরে হয়। তাই আমাদের উৎসবটাও এবার চৈত্রসংক্রান্তি থেকে শুরু হচ্ছে। চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষ্যে ঢাকা শহরে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে কনসার্ট হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সেখানে গান গাইবে গারো সম্প্রদায়ের ব্যান্ড এফ মাইনর, মারমা সম্প্রদায়ের লা রং, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ইমাং, খাসিয়া সম্প্রদায়ের ইউনিটি, চাকমা সম্প্রদায়ের ইনভোকেশন, বাঙালির মাইলস, ওয়ারফেজ, ভাইকিংস, অ্যাভয়েড রাফা, দলছুট ও স্টোনফ্রি।
নববর্ষের অনুষ্ঠান : ১৪ এপ্রিল রবীন্দ্র সরোবরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে সুরের ধারা। মোট ২৮টি নৃগোষ্ঠী চারুকলায় নববর্ষের শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। প্রথমবারের মতো রক মিউজিয়ানদের সংগঠন বামবা এতে অংশ নেবে। ঢাকা ও এর আশপাশ থেকে দুই শতাধিক তরুণ মিউজিশিয়ান গিটার ও ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে হাজির হবে এই শোভাযাত্রায়। একসঙ্গে তারা গাইবে ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি/ প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’। বিকালে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে রয়েছে নববর্ষের অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা ৭টায় সেখানে চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় হবে ড্রোন শো।
এর আগে বেলা ১২টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সভাকক্ষে ছিল আরও এক সংবাদ সম্মেলন।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ও শিল্পকলা একাডেমির সচিব ওয়ারেছ হোসেন, সব পরিচালক ও উপপরিচালক, ফিডব্যাকের ফুয়াদ নাসের বাবু, ওয়ারফেজ ব্যান্ডের ব্যান্ড লিডার শেখ মনিরুল আলম টিপু, আর্টসেলের লিংকন ডি কস্তা ও কাজী ফায়সাল আহমেদ, লালনের সুমি, এফ মাইনরের পিংকি, দলছুটের সাহান প্রমুখ। টিপু বলেন, বর্ষবরণের র্যালিতে পৃথিবীর শান্তি কামনায় গাইবেন শিল্পীরা।