
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৬ এএম
‘গোপন’ অভিযোগ জানাতে দুদকে হাসনাত-সারজিস

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম বুধবার হঠাৎ গিয়েছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। দুপুরে সংস্থাটির সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করেন তারা। বেশ কিছুক্ষণ পর বের হয়ে আসেন। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ‘গোপন অভিযোগ লিখিতভাবে দেওয়া হয়েছে। বলা যাবে না। অভিযোগের বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা আমরা পরে খবর নেব।’
সংগঠনটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা কিছু অভিযোগ নিয়ে এসেছি। আমাদের অভিযোগগুলো আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি।’ কার বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অভিযোগের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি কেন্দ্রিক নয়, একটু বড়। ভেরি কনফিডেনশিয়াল।’
সাংবাদিকরা ফের প্রশ্ন করেন, ব্যক্তি না হলে কি কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ-জবাবে সরাসরি কিছু না জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘এটা ভেরি কনফিডেনশিয়াল। এখন কনফিডেনশিয়াল বিষয় বলে দিলে তো আর কনফিডেনশিয়াল থাকল না। তাছাড়া অপরাধীরা তখন সতর্ক হয়ে যাবে।’
এনসিপির আরেক মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমও অভিযোগের বিষয়ে কিছু খোলাসা করেননি। দুদকের বর্তমান কর্মকাণ্ডে তারা সন্তুষ্ট কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অতীতে দুদককে ব্যবহার করে অনেকে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। অনেক সাধারণ মানুষকে আবার বিনা অপরাধে হয়রানি করা হয়েছে। এই সময়ে এসেও এখন আমরা সেটি প্রত্যাশা করি না। আমাদের কিছু অভিযোগ ছিল, সেটি আমরা লিখিতভাবে জানিয়েছি। সেটি জানাতেই আমরা এখানে এসেছি। এখন এর বেশি কিছু বলছি না।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, জুলাই বিপ্লবের আলোচিত এই দুই নেতা প্রচলিত নিয়মে অভিযোগ জমা দেননি। দুদকের নিয়ম অনুযায়ী হটলাইন কিংবা অভিযোগ বাক্সে যে কেউ অভিযোগ জমা দিতে পারেন। এছাড়াও দুদকের গেটে নির্ধারিত বুথে অভিযোগ জমা দিয়ে রিসিভ করিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু তারা সরাসরি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ দেন।