
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪১ পিএম

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সোমবার দুপুরে বিএনপির দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন স্পেন প্রবাসী সাইজুদ্দিন দেওয়ান (৩৫)। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ফারুক কবিরাজ ও রায়পুর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শামীম গাজী গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
নিহত সাইজুদ্দিন দেওয়ান চরবংশী খাসেরহাট এলাকার দেওয়ান বাড়ির নুর দেওয়ানের ছেলে। তিনি স্পেন প্রবাসী ছিলেন। তার স্ত্রী-সন্তান রয়েছে। তিনি শামীম গাজী গ্রুপের অনুসারী। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে রায়পুর, লক্ষ্মীপুর সদর, নোয়াখালী ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর সংঘর্ষ হয় বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে। তখনো আহত হয়েছিল ২০ জন। এরপর উপজেলা বিএনপি উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের সব কমিটি বিলুপ্ত করে।
দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত সংঘর্ষে জড়ান বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা। উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে শামীম গাজী, শফিক রাঢ়ী, গণি রাঢ়ী, মিজান খান, কবির হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জিহাদসহ ৩০ জন আহত হন।
উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব জিএম শামীম বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় ফারুক কবিরাজের নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। গত ১৯ ডিসেম্বর রাত থেকে ২০ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজের লোকজন।
উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ফারুক কবিরাজ বলেন, কৃষক দলের উপজেলা সদস্য সচিব শামীম গাজীর নেতৃত্বে এলাকায় দখল ও চাঁদাবাজি চলছে। আমাকে ভালো জানা নেতাকর্মীরা তাকে বাধা দিলে বিশৃঙ্খলা হয়। শামীমের লোকজন দফায় দফায় অস্ত্র নিয়ে বাজারে প্রকাশ্যে মহড়া ও ইউনিয়ন বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর করেছে।
এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে জানিয়ে রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, সেনাবাহিনীসহ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক আছে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জেডএম নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, সংঘর্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।