
প্রিন্ট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৯ এএম

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত তাসনিয়া ইসলাম প্রেমা (১৮) মারা গেছেন। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ধীমান চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রেমার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে শেষ পর্যন্ত সে মারা যায়। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হলো। এর আগে একই দুর্ঘটনায় প্রেমার বাবা-মা ও দুই বোন মারা যান। আর প্রেমার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পরিবারটির কেউ বেঁচে রইল না। বুধবার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী রিলাক্স পরিবহণের দ্রুতগতির যাত্রীবাহী একটি বাস চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকার মহাসড়কের একটি বাঁকে আসে। তখন চালক ‘হার্ড ব্রেক’ করতে গেলে বাসটির সামনের অংশ ঘুরে মহাসড়কে আড়াআড়ি হয়ে যায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা কক্সবাজারগামী দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। মুহূর্তেই কক্সবাজারগামী দ্রুতগতির আরেকটি মাইক্রোবাস দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থালেই সাত জন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও তিনজন।
দুর্ঘটনায় ওইদিন প্রেমার বাবা রফিকুল ইসলাম শামীম, মা লুৎফুন নাহার সুমি, আট বছর বয়সি বোন লিয়ানা, ১৪ বছর বয়সি বোন আনীষা, ফুপাতো বোন তানিফা ইয়াসমিন এবং শামীমের পারিবারিক বন্ধু মুক্তার হোসেন নিহত হন। তাদের মধ্যে আনীষা ছাড়া অন্যরা ঘটনাস্থলে নিহত হন। আনীষাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দোহাজারি হাইওয়ে থানার ওসি শুভরঞ্জন চাকমা জানিয়েছেন, রফিকুল ইসলাম শামীম পরিবার নিয়ে ঢাকার মিরপুরে থাকতেন। মাইক্রোবাসে করে পরিবারসহ কক্সবাজার ভ্রমণে যাচ্ছিলেন তারা।
দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসচালক ইউসুফ আলী, যাত্রী দিলীপ বিশ্বাস ও তার স্ত্রী সাধনা মণ্ডল, সাধনার বাবা আশীষ মণ্ডলও মারা যান।
এদিকে ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিশু আরাধ্য বিশ্বাসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আরাধ্যকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হন স্বজনরা। আরাধ্য চমেক হাসপাতালের শিশু আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল। এখন চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে চিকিৎসাধীন আছে গুরুতর আহত দুর্জয় কুমার মণ্ডল (১৮)। সে শিশু আরাধ্যের স্বজন।