
প্রিন্ট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
কল্যাণপুরে জাহাজ বাড়িতে জঙ্গি সাজিয়ে ৯ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান, সাবেক এসপি জসিম উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৭ মে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
এদিকে মিরপুরে জুলাই আগস্ট গণহত্যার অভিযোগে দারুসসালাম জোনের সাবেক এডিসি এমএম মইনুল ইসলামসহ আসামিদের বিরুদ্ধে আগামী ১৮ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া রামপুরায় ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা এক ছাত্রকে গুলির ঘটনায় সাবেক এসআই চঞ্চল চন্দ্র ও সাবেক এসি রাজেন কুমার সাহাসহ এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে আগামী ২৮ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম ও প্রসিকিউটর বিএ সুলতান মাহমুদ।
শুনানির এক পর্যায়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টের মামলার সংখ্যা বেড়েছে, আসামির সংখ্যা বেড়েছে। এ কারণে ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে। এ ছাড়া তদন্তে গতি আনতে তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশনে জনবল বাড়ানোর বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানান তিনি। এ সময় ট্রাইব্যুনাল দক্ষ জনবল নিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাজুল ইসলাম বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার লক্ষ্যে ও ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে পুলিশের এই কর্মকর্তারা জঙ্গি নাটক তৈরি করেছিলেন। পরে আদালত আদেশ দেন।
শুনানি শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুরের জাহাজ বাড়ি নামের একটি বাড়িতে ৯ তরুণকে আটকে রেখে সোয়াত, সিটিটিসিসহ গিয়ে তাদের বাসার মধ্যে গুলি করে হত্যা করে। পরে জঙ্গি হত্যা করা হয়েছে বলে তারা প্রচার করে। তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বহু আগে তারা এই ৯ তরুণকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করেন। এদের কেউ কেউ ডিবি হেফাজতে ছিলেন দুই-তিন মাস ধরে।