
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৩ পিএম
ভবন করলে ফ্লোর লিখে দিতে হবে কৃষক দল নেতাকে

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা ওমর ফারুক হুদা। সম্প্রতি পৈতৃক সম্পত্তিতে তিনি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিলে বাধা দেন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন আফসেল। ওমর ফারুকের দাবি, বহুতল ভবন নির্মাণ করতে হলে একটি ফ্লোর লিখে দিতে হবে, এমন শর্ত দিয়েছেন আফসেল। না দিলে শিক্ষার্থীদের দিয়ে তিনি পুরো জায়গা দখলেরই হুমকি দিয়েছেন। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
ওমর ফারুক জানান, বিমানবন্দর সড়ক মোড়ে সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে সৈকত মার্কেট ও পশ্চিমাংশের কিছু জায়গা তাদের। জমিটি দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করছে ওমর ফারুকের পরিবার। তবে উন্নয়নমূলক কোনো কাজ করতে গেলেই নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়।
সম্প্রতি বিরোধপূর্ণ জমিটিতে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ওমর ফারুকের পরিবার। এতে বাধা দেন গিয়াস উদ্দিন আফসেল। তিনি শর্ত দিয়েছেন, বহুতলভবন নির্মাণ করলে একটি ফ্লোর তার নামে লিখে দিতে হবে। দাবি না মানলে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে পুরো জমি দখল করে নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ওমর ফারুকের কাছে আফসেলের সঙ্গে কথোপকথনের দুটি অডিও রেকর্ড রয়েছে বলে জানান তিনি।
ওমর ফারুক বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতাদের স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বানিয়ে আমাদের জমিতে উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। সবশেষ সভাপতি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। সরকার পরিবর্তনের পর আমরা ভেবেছিলাম এবার হয়তো কাজ করতে পারব। কিন্তু নতুন করে কৃষকদল নেতা গিয়াস উদ্দিন আফসেল হুমকি দিতে শুরু করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গিয়াস উদ্দিন আফসেল ফোনে হুমকি দিয়েছেন। বলেছেন, তার দাবি না মানলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেবেন। পুলিশ দিয়ে হয়রানি করবেন।’
ফ্লোর দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে গিয়াস উদ্দিন আফসেল বলেন, ‘বিরোধপূর্ণ জায়গা নিয়ে আমার কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থ নেই। আমি স্কুল পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি মাত্র। বিরোধী পক্ষের বিরুদ্ধে কোনো হুমকি দেইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন। মামলার রায়ে যে পক্ষই জিতুক সে জমি বুঝে নেবে। যতদিন আমি দায়িত্বে আছি ততদিন বিদ্যালয়ের স্বার্থ দেখব। সম্প্র্রতি সদর এসি ল্যান্ড জায়গাটি পরিদর্শনে এসেছিলেন। তিনি বলেছেন, বিএস-২৭২ নাম্বার খতিয়ানে ওমর ফারুকের কোনো জমি নেই।’