শ্রীপুরে রগ কেটে অটোচালক হত্যা সড়ক অবরোধ

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

গাজীপুরের শ্রীপুরে অটোরিকশাচালক লিটন মিয়াকে (৩০) হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিরোধের জেরে সোমবার রাতে তাকওয়া পরিবহণের স্টাফরা তাকে হত্যা করে মহাসড়কে ফেলে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ মামলা না নেওয়ায় মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় ও অটোরিকশাচালকরা শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া নতুন এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে ওই সড়কে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, সোমবার বিকালে পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী বাজারে তাকওয়া পরিবহণের স্টাফদের সঙ্গে লিটনের বিবাদ হয়। এক পর্যায়ে জোর করে তাকে পরিবহণে উঠিয়ে নেয় স্টাফরা। এরপর প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে নিয়ে তার হাত ও পায়ের রগ কেটে তাকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ফেলে যায়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত লিটন নেত্রকোনার মদন থানার সিবপাশা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। শ্রীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাধখলা গ্রামে তিনি ভাড়া থাকতেন।
লিটনের ছোট ভাই আজিজুল জানান, তার ভাইকে তুলে নিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। থানায় গেলে মামলা না নিয়ে গড়িমসি করে পুলিশ। রাতভর থানায় অবস্থান করলেও মামলা নেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করা হলেও সড়ক দুর্ঘটনার মামলা করার পরামর্শ দেয় পুলিশ। এজন্য স্থানীয় বাসিন্দা ও অটোরিকশাচালকরা সড়ক অবরোধ করেন।
তাকওয়া পরিবহণ বন্ধের দাবিতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে কয়েক হাজার অটোচালক ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেন। প্রায় ৪ ঘণ্টা তারা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মামলা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা মহাসড়ক ছেড়ে যান। অটোরিকশাচালক সুমন বলেন, তাকওয়া পরিবহণের বাসের স্টাফরা করতে পারে না-এমন কোনো অপরাধ নেই। একজন চালককে তুলে নিয়ে তারা খুন করল অথচ মামলা নেওয়া হচ্ছে না।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী জানান, মহাসড়কে আমরা লাশ পেয়েছি। তাই দুর্ঘটনার মামলা নেওয়া ছাড়া অন্য মামলা নেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে মামলা নেওয়া হচ্ছে। তাকওয়া পরিবহণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।