Logo
Logo
×

শেষ পাতা

প্রতিশোধ নিয়েই ফাইনালে ভারত

Icon

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রতিশোধ নিয়েই ফাইনালে ভারত

আহমেদাবাদে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোটা ভারতকে স্তব্ধ করে শিরোপা উৎসব করেছিল অস্ট্রেলিয়া। একই বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও অসিদের কাছে হেরেছিল ভারত। মঙ্গলবার দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে সেই অস্ট্রেলিয়াকে চার উইকেটে হারিয়ে পুরোনো সব হিসাব চুকিয়ে ফাইনালে উঠল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ে নিশ্চিত হয়ে গেল ৯ মার্চ ফাইনাল হবে দুবাইয়ে। আজ লাহোরে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল দিয়ে শেষ হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পাকিস্তান পর্ব। এই ম্যাচের বিজয়ী দল ফাইনাল খেলবে ভারতের বিপক্ষে।

প্রতিশোধের মন্ত্র জপেই কাল মাঠে নেমেছিলেন রোহিত শর্মারা। দুবাইয়ের মন্থর উইকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া শেষ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে করতে পারে ২৬৪ রান। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৭৩ রান। জবাবে বিরাট কোহলির ৮৪ রানের দারুণ ইনিংসে ১১ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় ভারত। কোহলির বিদায়ের পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাকি কাজ সারেন লোকেশ রাহুল (৩৪ বলে ৪২*) ও হার্দিক পান্ডিয়া (২৪ বলে ২৮)। ম্যাক্সওয়েলকে ছয় মেরে জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন রাহুল। আইসিসির ওয়ানডে টুর্নামেন্টের নকআউট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটা কাল নতুন করে লিখল ভারত। ২০১১ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আগের রেকর্ড ২৬১ তাড়া করে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ভারত। এরআগে ৪৩ রানের মধ্যে শুবমান গিল (৮) ও অধিনায়ক রোহিত শর্মার (২৮) বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে ৯১ রানের জুটিতে দলকে কক্ষপথে ফেরান কোহলি ও শ্রেয়াস আয়ার। শ্রেয়াস ৪৫ রানে আউট হওয়ার পর অক্ষর প্যাটেল (২৭) ও রাহুলকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন ম্যাচসেরা কোহলি। ৬০ রানে দুই উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা।

টসে জিতে ব্যাটিং নেয় অস্ট্রেলিয়া। ভারত এ নিয়ে টানা ১৪টি ওডিআইতে টস হারল। আর অধিনায়ক হিসাবে রোহিত শর্মা টানা ১১টি ওয়ানডেতে টস হারলেন। তৃতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন কনোলি। বোলার মোহাম্মদ শামি। অস্ট্রেলিয়া প্রথম উইকেট হারায় চার রানে। পরের ওভারে হার্দিক পান্ডিয়াকে ছক্কা হাঁকান ট্রাভিস হেড। এবারের টুর্নামেন্টে এটি শততম ছয়। হেডকে নিয়ে যথেষ্ট মাথাব্যথা ছিল ভারতের। নবম ওভারে তাকে তুলে নিয়ে রোহিতদের মাথাব্যথা কমান বরুণ চক্রবর্তী। আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের পাঁচ উইকেট নেওয়া বাঙালি স্পিনার বরুণ নিজের দ্বিতীয় বলেই ফিরিয়ে দেন শূন্য রানে ‘জীবন’ পাওয়া এবং মন্থর শুরু করা হেডকে। লং-অফে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন শুবমান গিল। ৩৩ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন হেড। তার ইনিংসে পাঁচটি চার ও দুটি ছয়। অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় উইকেট হারায় মার্নাস লাবুশেনের মাধ্যমে। জাদেজার লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দিতে দেরি করেননি আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ। স্মিথের সঙ্গে কথা বলে লাবুশেন সাজঘরের পথ ধরেন। ওডিআইতে এ নিয়ে চতুর্থবার জাদেজার শিকার হলেন লাবুশেন।

২৬তম ওভারে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ফিফটি পূর্ণ করেন ৬৮ বলে। আইসিসি ওয়ানডে টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে এটি স্মিথের ষষ্ঠ পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৩৭তম ওভারে স্মিথ ফেরেন শামির বলে বোল্ড হয়ে। ৯৬ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। তিনটি ফিফটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তিনি। চারটি চার ও একটি ছয় তার ইনিংসের শোভা বাড়ায়।

এর আগে জশ ইঙ্গলিসকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ১২ বলে ১১ রান করে জাদেজার শিকার হন ইঙ্গলিস। শর্ট কভারে সহজ ক্যাচ নেন কোহলি। ৩৮তম ওভারে ম্যাক্সওয়েলকে তুলে নেন অক্ষর। পাঁচ বলে সাত রান করে বোল্ড হন অসি ব্যাটার। স্মিথের পর অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করেন অ্যালেক্স ক্যারি। ৪৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি কুলদীপের বলে এক রান নিয়ে। এরপর তিনি আর বেশিক্ষণ টেকেননি। ৬১ রানে শ্রেয়াস আয়ারের সরাসরি থ্রোয়ে রানআউট হয়ে যান। অস্ট্রেলিয়অ তখন ১৪৪/৪। তিন উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি। দুটি করে উইকেট পান রবীন্দ্র জাদেজা ও বরুণ চক্রবর্তী।

(স্কোর কার্ড খেলার পাতায়)

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম