Logo
Logo
×

শেষ পাতা

কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতির চেষ্টা

শরীয়তপুরে তিন ডাকাতকে পিটিয়ে হত্যা

আহত ৫, আটক ৫ * নদীতে নেমে ধাওয়া, পালটা গুলি-বোমা বিস্ফোরণ

Icon

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শরীয়তপুরে তিন ডাকাতকে পিটিয়ে হত্যা

শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টার সময় নদীতে নেমে ডাকাত দলকে ধাওয়া দেন স্থানীয়রা। এ সময় ডাকাতরা লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল ছোড়ে। পরে স্পিডবোট ফেলে ইটভাটায় আশ্রয় নেয়। স্থানীয়রা তাদের ঘিরে ফেলে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেকজনের মৃত্যু হয়। এ সময় ডাকাতদের ছোড়া বোমা ও গুলিতে আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় নদীর ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম।

ডাকাতির ঘটনায় প্রথমে সাতজনকে আটক করে। পরে শনিবার দুপুরে শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের আড়িগাঁও থেকে আরও একজনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পালং থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে ডাকাতির ঘটনায় এ পর্যন্ত আটজনকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। তারা আন্তঃজেলা ডাকাতচক্রের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পালং থানার পুলিশ।

আটকদের মধ্যে চারজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তারা হলেন- মুন্সীগঞ্জের মহেষপুরের সানাউল্লাহ গাজীর ছেলে রাকিব গাজী, একই জেলার কালিরচরের বাচ্চুর ছেলে রিপন, শরীয়তপুরের জাজিরার উপজেলার কুন্ডেরচরের মোহাম্মদ দেওয়ানের ছেলে আনোয়ার দেওয়ান ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুরের হারুন তালুকদারের ছেলে সজিব তালুকদার। এদের মধ্যে রিপন, সজিব ও অজ্ঞাতমানা একজন পিটুনিতে মারা গেছেন।

ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে আহতরা হলেন- শরীয়তপুরের পালং থানার ডোমসার মোল্লা কান্দি এলাকার দলিল উদ্দিনের ছেলে তোতা মিয়া, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার জয়নাল মিয়ার ছেলে বাল্কহেড শ্রমিক মাসুম মিয়া, একই জেলার নাজিরপুর উপজেলার কালিকাঠি এলাকার আনিস ফকিরের ছেলে বাল্কহেড শ্রমিক আল আমিন, একই এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর একজন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। এ ছাড়া আহত একজন অন্যত্র চিকিৎসা নিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, রাতে ডাকাতরা মাদারীপুরের রাজারচরে বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে। বিষয়টি টের পেয়ে তাদের ধাওয়া দেন স্থানীয়রা। ডাকাতরা পালিয়ে শরীয়তপুরের তেঁতুলিয়া এলাকায় এলে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে তাদের স্পিডবোটের গতিপথ রোধ করেন। ডাকাতির খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এলাকায় মসজিদে মসজিদে করা হয় মাইকিং। মুহূর্তেই শত শত মানুষ ডাকাতদের ঘিরে ফেলে। এ সময় ডাকাতদের ছোড়া বোমা ও গুলিতে বেশ কয়েকজন আহত হন।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মুনতাসির খান বলেন, ডাকাতদের গুলিতে আহত চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। বাকি তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আহত আট ডাকাতের মধ্যে তিন মারা গেছেন এবং বাকি পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির ঘটনায় একটি কাটা রাইফেল, একটি শর্টগান ও স্পিডবোট জব্দ করেছে পুলিশ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম