Logo
Logo
×

শেষ পাতা

নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: মির্জা ফখরুল

Icon

ধামরাই প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণবিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে অন্তর্র্বর্তী সরকার এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দেবে, যেখানে জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সোমবার বিকালে ধামরাই উপজেলার যাত্রাবাড়ী মাঠে বিএনপির সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে এ সমাবেশ হয়। ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিছু কিছু দল বলছে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চায়। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হলে স্থানীয় নির্বাচনে সহিংসতা হবে। আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকার জেনে শুনে দেশকে ধ্বংসের দিকে, নৈরাজ্যের দিকে, গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে কিনা! আমরা আশা করি সরকার সে পথ থেকে সরে আসবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকে এখন বিএনপিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, ফ্লার্ট করছে যেন উত্তেজিত হয় বিএনপি, যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়।

বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়েছে, বলছে বিএনপি কিছুই করেনি। অথচ ফ্যাসিবাদের পতনের ভিত্তি স্থাপন করেছে বিএনপি। বিএনপিকে নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করবেন না। বিএনপিকে ঠেকাতে চাইছে, বিএনপিকে ঠেকানো যাবে না। হাসিনা-মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দীন চেষ্টা করেছিল, পারেনি বিএনপিকে ধ্বংস করতে। কেউ পারবে না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার হচ্ছে, এগুলোর জবাব দিতে হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আপনারা জনগণের সঙ্গে থাকুন, তাদের কাছে চলে যান।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৮৩টি মামলা দেওয়া হয়েছিল, যেন তিনি দেশে ফিরতে না পারেন। এখনো মামলা শেষ হয়নি। এখনো কোর্টে যেতে হয় বিএনপিকে। এমন তো কথা ছিল না।

ক্ষমতায় থেকে নতুন দল করলে লোকে ‘টিজ পার্টি’ বলবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেই ব্যবস্থা জনগণ মেনে নিবে না। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অন্যান্য দলের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। লক্ষ্য আমাদের একটাই-বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করা। ধৈর্য ধরেন। একটি ফ্যাসিস্টকে সরানো হয়েছে। আমরা চাই এই সরকারই যেন অবশ্যই নির্বাচন সম্পন্ন করে। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইদুল আলম বাবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিভাগ বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, ঢাকা বিভাগ বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিন, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি প্রমুখ।

দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করি : এদিকে সোমবার ভোরে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা ইতোমধ্যে লক্ষ্য করেছি যে, স্থানীয় সরকার সংস্কার সংস্থার সুপারিশগুলো জনগণের প্রতিনিধিত্বের মৌলিক ধারণার বিরুদ্ধে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা অবনতির দিকে যাচ্ছে। হ্যাঁ, আমরা একটি ট্রানজিশনাল পর্যায় অতিক্রম করছি, তবে চলুন আমরা এই পরিবর্তনকে দীর্ঘায়িত না করি, দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করি, দেশের স্বার্থে আবার ইউনাইটেড (ঐক্যবদ্ধ) হই।

স্ট্যাটাসে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো এক বছর পেরিয়ে যায়নি, আমরা বাংলাদেশে জীবনের সবচেয়ে বড় বিজয় অর্জন করেছি। সবচেয়ে খারাপ ডিকটেটর হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। অনেক প্রাণ হারিয়েছে, মূল্যটা অনেক বেশি। আমরা আমাদের সম্মানিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রতি শতভাগ সমর্থন দিয়ে আসছি। হ্যাঁ, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের সংস্কার চাই। কিন্তু এই সংস্কারটি জনগণের প্রতিনিধি দ্বারা বাস্তবায়িত হতে হবে, যারা মানুষের পালস বোঝে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম