হামলাকারীদের পরিচয় প্রকাশ করল তালামীয
রিয়াদের শারীরিক অবস্থার অবনতি

সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ


সিলেট এমসি কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও তালামীযে ইসলামের কর্মী মিজানুর রহমান রিয়াদের ওপর হামলাকারীদের পরিচয় প্রকাশ করেছে তালামীয। তারা ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী। হামলাকারীদের শিবিরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবিতে চিহ্নিত করা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আঞ্জুমানে আল ইসলাহ-এর ছাত্র সংগঠন তালামীযে ইসলাম। তবে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে এই হামলার ঘটনার সঙ্গে শিবিরের কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করা হয়েছে।
এদিকে আহত শিক্ষার্থী রিয়াদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্বজন ও তালামীযের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রেদোয়ান আহমদ চৌধুরী। তিনি তার চিকিৎসার দেখভাল করছেন। তিনি জানান, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে মাঝে মধ্যে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন রিয়াদ। কিছু খেলেই বমি হচ্ছে, চোখে রক্ত জমাট বেঁধেছে। মাথায় আঘাতের কারণে এসব জটিলতা দেখা দিয়েছে বলে চিকিৎসকরা ধারণা করছেন। ইতোমধ্যে সিটিস্ক্যান করা হয়েছে বলে জানান তিনি। আহত রিয়াদের ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে থাকা জুনেদ আহমদের সঙ্গে কথা হয় যুগান্তরের। তিনি জানান, হামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি দেখেছেন এবং তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালেও নিয়েছেন তিনি। হামলাকারীদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১০-১২ জন ছিল। এদের মধ্যে যারা এই ব্লকের ছিল তাদের আমি চিনি। তারা সবাই শিবিরের কর্মী। তবে তাদের দলীয় পদ জানার সুযোগ নেই। শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ তারা প্রকাশ করে। তাই হামলাকারীদের মধ্যে কলেজ ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক জওহর লোকমান মুসান্নার দলীয় পদ জানা। বাকিরাও শিবিরকর্মী তার প্রমাণ হিসাবে ইতোমধ্যে শিবিরের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তারা ছিল তা চিহ্নিত করে প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আদনান, হৃদয়, সাদমান, আরিফ, সোহাগ, নাজমুল ও সাধারণ সম্পাদক মুসান্নাকে চিনেছেন বলে দাবি করেন জুনেদ আহমদ।
এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে এমসি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল আনাম রিয়াজ যুগান্তরকে জানান, বিষয়টি যে ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে ঘটেছে তা প্রায় নিশ্চিত এবং তিনি হামলার পর বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে যেটুকু জেনেছেন তাতে মনে হয়েছে হামলাকারীরা ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলে যাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলার মতো ঘটনা না ঘটে।
এ বিষয়ে ছাত্রশিবিরের এমসি কলেজ শাখার সভাপতি ইসমাইল খান যুগান্তরকে বলেন, যাদের ছবি তারা চিহ্নিত করেছে এরা অবশ্যই ছাত্রশিবিরের কর্মী, কিন্তু তারা কেউই এই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল না। এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ তারা হাজির করতে পারবে না। শুধু মুখে মুখে ছাত্রশিবিরের ওপর দায় চাপাচ্ছে তারা। কোনো প্রমাণ দিতে পারলে অবশ্যই তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।