Logo
Logo
×

শেষ পাতা

সিআরআইয়ে দুদক

৩৫ কোটি টাকার এফডিআরের সন্ধান

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

৩৫ কোটি টাকার এফডিআরের সন্ধান

মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে সিআরআইয়ের অফিসের খোঁজে অভিযান চালায় দুদক

আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) নামে আইএফআইসি ব্যাংকে ৩৫ কোটি ২১ লাখ টাকার এফডিআরের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব অর্থ সিআরআই কোথায় কিভাবে ব্যবহার করছে-তা নিয়ে ইতোমধ্যে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে। যদিও রাজধানীর ধানমন্ডিতে অভিযান চালিয়ে সিআরআইয়ের কোনো অফিস খুঁজে পায়নি দুদকের প্রতিনিধিদল।

দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে সিআরআই অফিসে অভিযানে যায় দুদক টিম। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ। অভিযান শেষে তিনি বলেন, সিআরআই রাষ্ট্রীয় অর্থ প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ব্যয় বা ক্ষতিসাধন করেছে কিনা সেটা যাচাই করার জন্য আমরা এখানে এসেছিলাম। আমরা প্রাথমিকভাবে তথ্যগুলো সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই অভিযানে এসেছি। বিভিন্ন সূত্রে আমরা দুটি ঠিকানা পেয়েছিলাম। সে অনুযায়ী ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ও ৬/এ রোডে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু এখানে সিআরআইয়ের কোনো অফিস আমরা খুঁজে পাইনি।

তিনি বলেন, যেহেতু আমরা নির্ধারিত স্থানে অফিস খুঁজে পাইনি; অন্যভাবে যদি রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করতে পারি তাহলে কমিশনে রিপোর্ট দাখিল করতে পারব। এ বিষয়ে আমাদের চেষ্টার কমতি নেই।

পরে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সিআরআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক বিভিন্ন রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী দেখা যায়, সিআরআইয়ের চেয়ারম্যান হিসাবে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়), ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ট্রাস্টি হিসাবে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং নসরুল হামিদের নাম উল্লেখ রয়েছে। অভিযানকালে ডাচ্-বাংলা, আইএফআইসি ও সোনালীসহ যেসব ব্যাংকে সিআরআইর নামে হিসাব চালু ছিল তাদের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

দুদকের মহাপরিচালক জানান, প্রাপ্ত তথ্যাদি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আইএফআইসি ব্যাংকে সিআরআই নামক প্রতিষ্ঠানটির ৩৫ কোটি ২১ লাখ টাকার একটি এফডিআর রয়েছে। এছাড়া সোনালী ব্যাংকে লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গেছে। অভিযানকালে সংগৃহীত নথিপত্র এবং ব্যাংক হিসাবগুলোর লেনদেনের তথ্য বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

এর আগে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সিআরআই, তাদের ইয়ং বাংলা প্রজেক্ট এবং জয়, পুতুল ও ববির ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা ছিলেন জয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। অটিজম বিশেষজ্ঞ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসাবে কাজ করছেন। বর্তমানে তার কর্মস্থল ভারতের নয়াদিল্লিতে। ববি আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো পদে না থাকলেও ‘ইয়ং বাংলা’র মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করেছেন। তাদের পাশাপাশি শেখ হাসিনা সরকারের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন নসরুল হামিদ। তিনিও সিআরআইয়ের একজন ট্রাস্টি ছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বহু মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি জয়, পুতুল, ববিও আসামি হয়েছেন। একাধিক মামলায় নাম আছে নসরুল হামিদেরও।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম