পবায় ফাঁকা গুলি ককটেল ফাটিয়ে হাটের দরপত্র লুট
যুবদল নেতা আহত
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
![পবায় ফাঁকা গুলি ককটেল ফাটিয়ে হাটের দরপত্র লুট](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/04/Rajshahi-67a1482f6a10c.jpg)
রাজশাহীর পবায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হাট ইজারার টেন্ডার বাক্স ভেঙে দরপত্র লুট করেছে কিছু দুষ্কৃতকারী। সোমবার দুপুরে পবা উপজেলা পরিষদে এ হামলার সময় ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন যুবদলের এক নেতা ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পবা উপজেলার ১২টি হাট ইজারা দিতে ১৫ জানুয়ারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সোমবার ছিল দরপত্র দাখিলের শেষ দিন। টেন্ডার বাক্স রাখা ছিল ইউএনওর কার্যালয়ের নিচতলায়। সেখানে প্রথমে একপক্ষ আরেক পক্ষকে দরপত্র দাখিল করতে বাধা দেয়। এরপর গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে টেন্ডার বাক্স ভেঙে দরপত্র লুট করা হয়েছে।
এ হামলায় দরপত্র জমা দিতে যাওয়া এক যুবদল নেতাও ছুরিকাঘাতে আহত হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘মূলত খড়খড়ি হাট ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। আমরা দরপত্র জমা দিতে এলেই প্রথমে গেটের কাছে কয়েকজন বাধা দেন। এরপরও আমরা ব্যাংক ড্রাফট করি এবং বাক্সে দরপত্র জমা দিতে যাই। তখন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করা হয়। একপর্যায়ে বাধাদানকারীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে, ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় এবং বাক্স খুলে সব শিডিউল লুট করে নিয়ে যায়।’
হামলাকারীদের নেতৃত্বদানকারী হিসাবে তিনি সাবেক এক শিবির নেতার নামও জানান। সাবেক ওই শিবির নেতা কিছুদিন আগেও বিএনপির রাজনীতি করতেন।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক সাবেক ওই শিবির নেতা বলেন, ‘আমি দরপত্র জমা দিতে গিয়েছিলাম তা ঠিক। তবে এ দরপত্র লুটের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা যুবদল এবং বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব।’
হামলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। রাজশাহীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমা মোস্তারিন বলেন, ‘গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। জমা পড়া সব দরপত্রও লুট হয়েছে। শুধু বাক্সটি পড়ে আছে। উপজেলা প্রশাসন যেভাবে চাইবে, সেভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পবার ইউএনও আরাফাত আমান আজিজ বলেন, ‘দরপত্র জমাদানের সময় ছিল সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ দুপক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ককটেল বিস্ফোরণ ও কয়েক রাউন্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় দরপত্র বাক্স ভেঙে জমা হওয়া দরপত্র লুটও হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
এখন দরপত্রের কী হবে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ‘সাধারণত দরপত্র জমাদানের একাধিক সময় নির্ধারণ করা থাকে। আগামী তারিখ আছে ৬ ও ৭ এপ্রিল। ইজারা প্রক্রিয়া বাতিল হবে না।’