Logo
Logo
×

শেষ পাতা

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থা

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি বহাল রাখতে চিঠি দিয়েছি-শিক্ষা উপদেষ্টা * বের হয়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ফিরে আসা উচিত -ইউজিসি চেয়ারম্যান

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থা

আসন্ন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বেশ কয়েকটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার তারিখও ঘোষণা করেছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য বেশ কয়েকবার অনুরোধ জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু সেই অনুরোধের তোয়াক্কা করেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি গুচ্ছ পদ্ধতিতে সব বিশ্ববিদ্যালয় বহাল রাখার দাবি জানিয়ে আন্দোলন করছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির মুখে সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুচ্ছ ভর্তিতে থাকতে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। ঠিক পরদিন নির্দেশনা উপেক্ষা করে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গিয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এমন আচরণে হতাশ নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ইউজিসি ও মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে আরও কঠোর হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমনকি নির্দেশ অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থার কথাও ভাবছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সাতটি এরই মধ্যে এ ভর্তি পদ্ধতি থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় একই পথ অনুসরণ করার পরিকল্পনা করছে। গুচ্ছের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে নানা জটিলতা, দীর্ঘসূত্রতা ও অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রথম নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের ঘোষণা দেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের পরও জবি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।

এ ছাড়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ও বের হওয়ার পথে রয়েছে।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ যুগান্তরকে বলেন, গুচ্ছভুক্ত সব বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি নির্দেশ দিয়েছি। এরপরেও যদিও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নির্দেশনা অমান্য করে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা কি নেওয়া যায় সে চিন্তা করছি। এর আগেও আরও তিনটি চিঠি দেওয়া হয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। এমনকি গুচ্ছ ভর্তিতে সব বিশ্ববিদ্যালয় বহাল থাকতে আমি নিজেও চিঠি লিখেছি।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ যুগান্তরকে বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত খরচ, কষ্ট ও হয়রানি লাঘব করতে গুচ্ছ থেকে বের হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ফিরে আসার অনুরোধ করছি। এক্ষেত্রে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।

পাশাপাশি যেসব সমস্যা ও অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো আলোচনা করে সমাধান করব। সম্প্রতি ইউজিসির সামনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা গুচ্ছের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার যে দাবি জানিয়েছে, সেগুলো যৌক্তিক। শিক্ষার্থীদের কল্যাণের দিক বিবেচনা করে ২৪ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রেজাউল করিম যুগান্তরকে বলেন, ‘নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে আমাদের সব প্রক্রিয়া শেষ। এখন আমাদের গুচ্ছে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতামত ও শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে আমরা গুচ্ছ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

২৪ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা বহাল রাখার দাবিতে রবি ও সোমবার ইউজিসির সামনে বিক্ষোভ করে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সোমবার ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ‘গুচ্ছ’ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম