Logo
Logo
×

শেষ পাতা

৯১৮ কোটি টাকা লোপাট

এস আলমের ছেলেসহ ৫২ জনের নামে মামলা অনুমোদন

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এস আলমের ছেলেসহ ৫২ জনের নামে মামলা অনুমোদন

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৯১৮ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলমসহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আহসানুল ব্যবসায়ী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের ছেলে।

এদিকে অর্ধশত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য (এমপি) নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সংস্থাটি। একই অভিযোগে তার স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীকে তলব করা হয়েছে। রাজধানীর সেগুনবাগিচা প্রধান কার্যালয়ে মঙ্গলবার কমিশনের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি আরও জানান, শাওনের মামলাটি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ দায়ের করা হয়েছে। একই কার্যালয়ে আজ ইসলামী ব্যাংক থেকে ৯১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলাটি করা হবে। আক্তার হোসেন বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখা থেকে ৮২৭ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ টাকা ঋণের নামে বের করেছেন। যা সুদাসলে ৯১৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৮ টাকা দাঁড়িয়েছে। এ পুরো টাকা লোপাট করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে ঋণের নামে নেওয়া অর্থের প্রকৃত উৎস গোপন ও স্থানান্তরের মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হবে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও অর্থ পাচার আইনে অভিযোগ আনা হবে।

মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির সাবেক চেয়ারম্যান আহসানুল আলমকে। এ ছাড়াও ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের ভাইসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন-সেঞ্চুরি ফুড প্রডাক্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক ও চেয়ারম্যান, ইসি কমিটি: ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সাবেক নমিনি পরিচালক সৈয়দ আবু আসাদ, সাবেক সদস্য, ইসি কমিটি ও ভাইস চেয়ারম্যান: ডা. তানভীর আহমদ, সাবেক সদস্য, ইসি কমিটি ও পরিচালক মো. কামরুল হাসান, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক ও সদস্য, ইসি কমিটি: ড. মোহাম্মাদ সালেহ জহুর, সাবেক পরিচালক ও সদস্য, ইসি কমিটি: অধ্যাপক মো. নাজমুল হাসান, সাবেক পরিচালক ও সদস্য, ইসি কমিটি: ড. মো. ফসিউল আলম, সাবেক সদস্য, ইসি কমিটি: আবু সাইদ মোহাম্মদ কাশেম, সাবেক পরিচালক ও সদস্য, ইসি কমিটি: জামাল মোস্তফা চৌধুরী। আসামি তালিকায় আরও আছেন-ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব উল আলম, সাবেক ডিএমডি তাহের আহমেদ চৌধুরী, হাসনে আলম, মো. আব্দুল জব্বার, এসইভিপি মো. সিদ্দিকুর রহমান, এএএম হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ ও মো. ওমর ফারুক খান।

অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেকিউএম হাবিবুল্লাহ, মুহাম্মদ কায়সার আলী, সাবেক ডিএমডি মোহাম্মদ আলী, মো. মোস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, সাবেক এসইভিপি মো. আলতাফ হোসেন, সাবেক ডিএমডি মোহাম্মদ সাব্বির, এসইভিপি জিএম মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, সাবেক ডিএমডি মিফতাহ উদ্দিন, সাবেক এসইভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ, সাবেক ডিএমডি আবুল ফাইয়াজ মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সাবেক এসইভিপি, বর্তমানে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, মো. ফরিদ উদ্দিন, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো. রেজাউল করিম, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, ভিপি মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে আরও আছেন-ব্যাংকটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান মো. মনজুর হাসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক শাখা প্রধান মুহাম্মদ সিরাজুল কবির, এসএভিপি, করপোরেট ইনভেস্টমেন্ট ডিভিশন মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, দুলারি এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মো. ছাদেকুর রহমান, মুছা এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মো. মুছা চৌধুরী, এমএম করপোরেশনের প্রোপাইটর মোহাম্মদ রফিক, অ্যাপার্চার ট্রেডিং হাউজের প্রোপাইটর এসএম নেছার উল্লাহ, ফেমাস ট্রেডিং করপোরেশনের প্রোপাইটর আরশাদুর রহমান চৌধুরী, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মাদ আব্দুস সবুর, আনছার এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর আনছারুল আলম চৌধুরী, রেইনবো করপোরেশনের প্রোপাইটর রায়হান মাহমুদ চৌধুরী, কোস্টলাইন ট্রেডিং হাউজের প্রোপাইটর এরশাদ উদ্দিন, গ্রিন এক্সপোজ ট্রেডার্সের প্রোপাইটর এমএ মোনায়েম, ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী ও সোনালী ট্রেডার্সের প্রোপাইটর শহীদুল আলম।

নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক বলেন, তার (শাওন) বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫১ কোটি ৯ লাখ ২৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সঙ্গে তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩৩টি ব্যাংক হিসাবে ২০৮ কোটি ৭০ লাখ ৭৯ হাজার ৪২৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ায় মামলা করেছে দুদক।’ আর নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের স্ত্রী ফারজানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে ২ কোটি ২০ লাখ ৬১ হাজার টাকার অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে দুদক থেকে জানানো হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম