বেক্সিমকোর সম্পদ অধিগ্রহণ করে বেতন দিতে হবে: মামুন রশীদ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বেক্সিমকো গ্রুপের কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের বেতন নিয়ে অসন্তোষ চলছে। প্রয়োজনে ওই প্রতিষ্ঠানের অন্য সম্পদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ অধিগ্রহণ করে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে এ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও প্রভাব খাটিয়ে যারা ঋণ নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে জানান আর্থিক খাত বিশ্লেষক মামুন রশীদ।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে শনিবার ‘আমলাতান্ত্রিক জটিলতাই বিদেশি বিনিয়োগের প্রধান বাধা’ শীর্ষক ছায়া সংসদে মামুন রশীদ এসব কথা বলেন। ছায়া সংসদে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সমান নম্বর পেয়ে যৌথভাবে বিজয়ী হয়।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এসএম মোর্শেদ, বাবু কামরুজ্জামান, সাংবাদিক ইকবাল আহসান ও আবুল কাশেম। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। এদিন সংস্থাটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আর্থিক খাত বিশ্লেষক মামুন রশীদ আরও বলেন, বিদেশে রোড শো করে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করা যায় না। বিগত সরকারের সময় রোড শো’র নামে আমলা ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের আশীর্বাদপুষ্টরা বিদেশে আনন্দ ভ্রমণ করেছেন। এসব শো’র নামে অনৈতিকভাবে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় করা হয়েছে। সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন তাদের দায়িত্বের বাইরে গিয়ে এসব রোড শো করেছে।
তিনি জানান, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে হলে বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনায় সুশাসনের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য ও বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্ষম ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে ঘুস, দুর্নীতি বন্ধের পাশাপাশি ঋণপ্রাপ্তি সহজীকরণ, আমলাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার জরুরি।
মামুন রশীদ বলেন, আওয়ামী লীগ শাসন আমলে অসৎ উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হলেও সৌদি আরবের আরামকো, কোরিয়ার স্যামসাং ও আমাজন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেনি। ডলার সংকটের কারণে ইত্তেহাদ ও ফেসবুক তাদের বিনিয়োগ সংকোচন করেছে।
হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ডলার সংকট, উচ্চ সুদহার, অধিক শুল্ক দুর্নীতি, অর্থ পাচার, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সেবাপ্রাপ্তিতে ভোগান্তি, জ্বালানি সংকট, আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ নানা কারণে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারছে না। বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ থেকে তাদের মুনাফা, লভ্যাংশ ও পুঁজি ফেরত নিতে পদে পদে হয়রানি, ঘুস ও দুর্নীতির শিকার হয়। ফলে তারা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয় না।