একাদশ সংসদ নির্বাচনের কারচুপি খতিয়ে দেখবে দুদক

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ফাইল ছবি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর্থিক সুবিধা নিয়ে আওয়ামী লীগকে জেতাতে ক্ষমতার অপব্যবহার, দিনের ভোট রাতে করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আলোচিত এই নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও রাজনৈতিক নেতাসহ কুশীলবদের দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ কমিশনে জমা পড়েছে। অভিযোগে ‘দিনের ভোট রাতে’ করা, ব্যালট জালিয়াতি, কিছু কিছু কেন্দ্রে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট দেখানোর মতো বিষয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভোট কারচুপির ক্ষেত্রে ব্যাপক আর্থিক লেনদেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রার্থীকে জেতানো ইত্যাদি নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সেই আলোকে দুদক বিষয়টি তদন্ত করবে।
দুদক মহাপরিচালক জানান, অভিযোগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি মহানগর, জেলা, বিভাগীয়, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। দুদক সূত্র জানায়, পুলিশের তৎকালীন আইজি জাভেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, র্যাবের প্রধান ড. বেনজীর আহমেদ, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকি, তৎকালীন জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের মতো নীতিনির্ধারকদের নাম রয়েছে অনুসন্ধান তালিকায়। আক্তার হোসেন বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রত্যক্ষ অংশ নেওয়া জেলা প্রশাসক, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ সুপার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা/উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তার যোগসাজশ থাকতে পারে। এসব বিষয় দেখবেন অনুসন্ধান কর্মকর্তারা। জানা গেছে, অভিযোগ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের প্রচারিত সংবাদ এবং নির্বাচনের ফলাফল শিট পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করে অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করবে।