দুবাইয়ে সরাফাতের ফ্ল্যাট-ভিলা জব্দের আদেশ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের দুবাইয়ে থাকা একটি ফ্ল্যাট ও একটি ভিলা জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সরাফাতের দুবাইয়ে থাকা ফ্ল্যাট ও ভিলা জব্দের আদেশ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। আবেদনটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের গত ৩ মেয়াদে আর্থিক খাতের অনিয়মে বারবার নাম এলেও যিনি পার পেয়ে গেছেন, সেই চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে ব্যাংক দখল ও শেয়ারবাজার থেকে অর্থ লোপাটের মাধ্যমে ৮শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সেজন্য দুদকের উপপরিচালক ইসমাইল হোসেনকে প্রধান করে ৩ সদস্যর টিম গঠন করা হয়। এই টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন দুদকের উপপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ও উপসহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম।
পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি রেইস অ্যাসেট ম্যানেজেমেন্ট পিএলসির মালিকানাতেও যুক্ত।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নাফিজ সরাফাত হোটেল ব্যবসা, বিদ্যুৎ, মোবাইলের টাওয়ার, মিডিয়াসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসার বিস্তার ঘটিয়েছেন গত এক দশকে।
অনিয়ম আর ঋণ কেলেঙ্কারিতে ফারমার্স ব্যাংক বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন ঘটে ২০১৭ সালে। সে সময় চাপের মুখে চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
পরের বছর ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন চৌধুরী নাফিজ সরাফাত; পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তনের পর ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ফারমার্স ব্যাংকের নাম হয় পদ্মা ব্যাংক। ফারমার্স থেকে পদ্মা ব্যাংক হওয়ার সময় প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৭০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের শেষে তা বেড়ে ৩ হাজার ৬৭২ কোটি টাকায় দাঁড়ায়, যা মোট ঋণের প্রায় ৬৪ শতাংশ। অর্থাৎ নাফিজ সরাফাতের সময়ে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৬০২ কোটি টাকা।