Logo
Logo
×

শেষ পাতা

জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জামায়াতের বৈঠক

দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব: আব্দুল্লাহ মো. তাহের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব: আব্দুল্লাহ মো. তাহের

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কখন হতে পারে বলে জানতে চেয়েছে ঢাকায় সফররত জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল। জবাবে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সম্ভব। তবে এখানে কিছু জরুরি সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কার ছাড়া যদি নির্বাচন হয়, তবে নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ থেকে যাবে। আর সংস্কারের নামে অযথা সময়ক্ষেপণ করা এটাও সঠিক হবে না। জরুরি সংস্কার করা ও ইলেক্টরাল ‘ল’ চেঞ্জ করা যেটা নির্বাচনকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বেশি অথরিটি দেবে।

সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের নির্বাচনি চাহিদা মূল্যায়ন মিশনের সঙ্গে রাজধানীতে জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করে জামায়াতের প্রতিনিধি দল। পরে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের এসব কথা বলেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের একটি বড় দল। তাদের একটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে ও তারাও তাদের বক্তব্য রেখেছে।

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের আরও বলেন, সাংবিধানিক মৌলিক পরিবর্তন আনা দরকার বলেছি। দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না সে কথা বলেছি। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। এসব বিষয়েও সংস্কার হওয়া দরকার বলে আমরা জানিয়েছি। এক্ষেত্রে সংস্কার কমিশন যেসব প্রস্তাব জমা দিয়েছে সেগুলোকে নিয়েই সরকারের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনতিবিলম্বে সংলাপ শুরু করা দরকার। সংলাপ শেষ করেই কনসেসাস তৈরি করা প্রয়োজন মৌলিক বিষয়গুলোতে। এরপর নির্বাচন শুরু করার জন্য যে সময় দরকার তার ভিত্তিতেই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করা দরকার।

জাতিসংঘ মিশনের পক্ষে ছিলেন সারা পিট্রোপাওলি (রাজনৈতিক বিষয়ক কর্মকর্তা, জাতিসংঘের রাজনৈতিক ও শান্তি প্রতিষ্ঠা বিষয়ক বিভাগ এবং নির্বাচনি সহায়তা বিভাগ), আদিত্য অধিকারী (রাজনৈতিক বিষয়ক কর্মকর্তা, এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগ, জাতিসংঘের রাজনৈতিক ও শান্তি প্রতিষ্ঠাবিষয়ক বিভাগ এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিভাগ), নাজিয়া হাশেমি (ইউএনডিপির উপদেষ্টা, ডিজিটাল যুগে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়া)। জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল এতে অংশ নেন। তাহের ছাড়াও প্রতিনিধি দলে ছিলেন-কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, জাতিসংঘের নির্বাচনি চাহিদা মূল্যায়ন মিশনের আমন্ত্রণে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছি। তারা কয়েকটি বিষয়ের ওপর জানতে চেয়েছে যে, নির্বাচন ইউএনডিপি কী ধরনের সহযোগিতা করতে পারে ও স্বচ্ছ-সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সে ব্যাপারে আমরা কী ভাবছি। এসব বিষয়ে তারা কথা বলেছে ও ইউএনডিপির এ মিশনকে আমরা স্বাগত জানাই না। আমরা বলেছি, যে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আমরা সহযোগিতার জন্য স্বাগত জানাই। তবে হস্তক্ষেপ করার জন্য নয়। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ব্যাপারে আমরা আরেকটি কথা বলেছি, প্রত্যেক কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা সংযোগ দিতে হবে। কারণ সিসি ক্যামেরা থাকলে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি বোঝা যাবে। এক্ষেত্রে অর্থায়নের বিষয়টি এসেছে। আমরা বলেছি এক্ষেত্রে সহযোগিতা করো।

তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাপারে জানতে চাইলে আমরা বলেছি, আমরা নীতিগতভাবে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পিউপল উইল সে, এনভায়রনমেন্ট উইল সে পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়।’ ডা. তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী কোনো দলের পক্ষে-বিপক্ষে আইনগত বিষয়ে মতামত দেবে না। ‘এটা জনগণ উইল ডিসাইড, সোসাইটি উইল ডিসাইড, সিচুয়েশন উইল ডিসাইড, এনভায়রনমেন্ট উইল ডিসাইড।’ আগে স্থানীয় সরকার না জাতীয় সরকার নির্বাচন সে বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো মতামত ঠিক করিনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা তো একেবারেই আমাদের মৌলিক দাবি। এর আগে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল তা জামায়াতে ইসলামীই আগে করেছিল। পরে অন্যান্য দল এটাকে সমর্থন দিয়েছে। আমরা এর জন্য আন্দোলন করেছি। এটা সংবিধান সংযোজিত হয়েছিল। নিজের সুবিধার জন্য আওয়ামী লীগ এটি বন্ধ করেছে। সুতরাং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এটা আমাদের মৌলিক দাবি ও এটাই হতে হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম