ভোটার হালনাগাদ ও ভোটের ফলাফল
সবার সহযোগিতা চাইলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
যুগান্তর প্রতিবেদক, ঢাকা উত্তর
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ভেঙে পড়া নির্বাচন ব্যবস্থার উত্তরণে দেশের সব মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেছেন, আমরা আর অনিয়ম চাই না। সত্যিকারভাবে নির্বাচন বলতে যা বোঝায় তা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। নির্বাচনের নামে প্রহসন চাই না। ভোটার তালিকা হালনাগাদ থেকে আরম্ভ করে ভোট দেওয়া, ফলাফল পর্যন্ত এ দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় আমরা সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা চাই।
সোমবার ঢাকার সাভারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন। এ তথ্য সংগ্রহ কর্মসূচি চলবে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া, ছবি তোলাসহ অন্যান্য কাজ চলবে। জুনের মধ্যে এ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম, যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ঠিকানা স্থানান্তরের সুযোগ থাকছে এবারের হালনাগাদে।
ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন নাসির উদ্দিন বলেন, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের এ কাজ করতে হবে। ভোটের অধিকার আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাঙালি জানে ঐক্যবদ্ধ হতে অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বাঙালি ফাইট করতে জানে।
সিইসি আরও বলেন ৫ আগস্টের বিপ্লব আমাদের অনেক সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগটা হচ্ছে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ। এখন ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার কাজটি করতে হবে। এর প্রথম ধাপ হচ্ছে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা। আমরা অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে পুরো দেশবাসীকে আমরা পাশে চাই। আমরা পুরো দেশবাসীর সহযোগিতা নিয়ে ভোটের অধিকার আমরা প্রতিষ্ঠা করব। যেদিন মানুষ বিনা দ্বিধায় ভয়-ভীতিহীনভাবে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে, সেদিন আমরা মনে করি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের কাজ আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা। পুরো কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত থাকবে ৬৫ হাজার লোকবল। যারা ১ দশমিক ৫২ শতাংশ নাগরিক ভোটার তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করবেন।
২০২২ সালে নেওয়া তিন বছরের তথ্যের শেষ ধাপের হালনাগাদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এতে ১৮ লাখের মতো ভোটার আগামী মার্চে যোগ হতে পারে। সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন। বাড়ি বাড়ি হালনাগাদে ১৯ লাখ নতুন ভোটার তালিকায় যোগ হতে পারে। অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজিসহ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।