আনসার কার্যালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিতর্কিত ভূমিকায় জড়িত কর্মকর্তাদের ধরা হবে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগ আমলে অপরাধ কার্যক্রম ও বিতর্কিত ভূমিকায় জড়িত পুলিশসহ সরকারি কর্মকর্তাদের ধরা হবে। এর মধ্যে ছাগলকাণ্ডের মতিউরকে ধরা হয়েছে। আস্তে আস্তে সবাইকে ধরা হবে। বুধবার বেলা ১১টায় আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের ছুটি বাতিল ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি বিবেচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য আনসার বাহিনীতে জনবল বাড়ানো হচ্ছে। তাদের চাকরির বিরতি আর থাকছে না। তারা নিয়মিত কাজ করছে।
বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেসব পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকা ছিল, ফুটেজ আছে তাদের ধরা হচ্ছে। অন্যদের ধরতে চেষ্টা চলছে। প্রতিদিন ২-১ জন করে ধরা পড়ছেন। যেমন ছাগলকাণ্ডের মতিউরকে ধরা হয়েছে। তাকেও এতদিন ধরা যায়নি। অন্যদেরও ধরা হবে, আইনের আওতায় আনা হবে। অনেকে তো লুকিয়ে আছে। একে একে সবাইকে ধরা হবে।
সরাসরি গুলি করেছেন এমন লোকদের পদায়নের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইনকোয়ারির পর যাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ধরার পর আবার এক ওসি পালিয়েও গেছে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, পাশের দেশের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আপনারা সঠিক-স্বচ্ছ সাংবাদিকতা করেছেন। তবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। গণমাধ্যমের কাছে থাকা বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা-সদস্যদের তালিকাটি পুলিশ সদর দপ্তরে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তরুণদের কর্মসংস্থানের জন্য আনসার বাহিনীতে জনবল বাড়ানো হচ্ছে। ৬০ লাখের বেশি আনসার সদস্য। তাদের কীভাবে উন্নতি, প্রশিক্ষণ দিয়ে আরও কীভাবে জনগণের সেবায় কাজে লাগানো যায় সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে। মহাপরিচালকসহ অন্য কর্মকর্তারা নানা সমস্যা অবগত করেছেন। কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো যত তাড়াতাড়ি সমাধান করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করেছি। তাদের চাকরিতে যে বিরতি সেটা আর থাকছে না। আনসার বাহিনীকে এক লাখ জনবলে উত্তীর্ণ করা গেলে কর্মসংস্থান হবে। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো এটা করা সম্ভব হবে।
এ সময় বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।