কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান রতন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ৪ নেতাকর্মী। রোববার বেলা ১১টায় ইউনিয়নের বানাইল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। একদিন আগেই রতন ওই পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা বিএনপি। এছাড়া আগামী ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে মাদারীপুরের কালকিনিতে শনিবার রাতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন।

তাড়াইল থানা পুলিশ জানায়, শনিবার সম্মেলনের মাধ্যমে রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কমিটি গঠন করা হয়। সভাপতি নির্বাচিত হন আবুল হাসান রতন (৬০)। এই কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ায় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি (ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী) গিয়াসউদ্দিনের পক্ষের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে রোববার বেলা ১১টায় দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন আবুল হাসান রতনসহ ৫ নেতাকর্মী। তাদের উদ্ধার করে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক রতনকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আবুল হাসান রতন তাড়াইল উপজেলার ২নং রাউতি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বানাইল গ্রামের মড়লবাড়ীর মো. নূরহুদার ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে একটি দলীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। ঘটনাটি সাংগঠনিক নাকি ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে ঘটেছে তা জেনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার পাশাপাশি কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য রতনের লাশ কিশোরগঞ্জের শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।

কালকিনিতে ছাত্রদল-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ৫ : কালকিনি-ডাসার (মাদারীপুর) প্রতিনিধি জানান, শনিবার রাতে নতুন টরকী বাজার দখলে নিতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রমজানপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতা সাকিব ইসলাম নয়ন ও মিলন বেপারীর নেতৃত্বে কিছু লোক বাজারে আসে। এ সময় কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা। পরে রমজানপুর ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. স্বপন মোল্লা, বিএনপি নেতা রিপন খানসহ উপস্থিত জনতা তাদের প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত মিলন বেপারী ও জুয়েল বেপারীকে পাশের গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা বলেন, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পালটাধাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।