ইলেকট্রনিক্সের পার্টনার্স মিটে মনিকা নাজনীন ইসলাম
গ্রাহকরাই যমুনার প্রাণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী যমুনা গ্রুপের পরিচালক মনিকা নাজনীন ইসলাম বলেছেন, আমাদের যমুনা পরিবারের প্রাণ হচ্ছে গ্রাহক। আর ডিলাররা হলেন আমাদের শক্তি। আমরা সবাই মিলে একটি পরিবার। এ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করাই আমাদের লক্ষ্য।
শনিবার কক্সবাজারের পাঁচতারকা ওশান প্যারাডাইস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে আয়োজিত যমুনা ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অটোমোবাইলস লিমিটেডের ‘পার্টনার্স মিট-২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তিন শতাধিক ডিলার অংশ নিয়েছেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যমুনা গ্রুপের পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত ও এসএম আব্দুল ওয়াদুদ এবং শীর্ষ কর্মকর্তারা।
মনিকা নাজনীন ইসলাম আরও বলেন, আমার বাবা মরহুম নুরুল ইসলামের স্বপ্ন ছিল দেশীয় পণ্য দিয়ে একটি বিশ্বমানের ব্র্যান্ড তৈরি করা। আমরা সেই স্বপ্নপূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। যমুনা গ্রুপ দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে গর্বের সঙ্গে ভূমিকা রেখে চলেছে।
তিনি বলেন, ২০ বছর আগে ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো; কিন্তু এখন যমুনা দেশে আন্তর্জাতিক মানের ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন করছে। এছাড়া আমরা বিদেশে রপ্তানির কার্যক্রমও শুরু করেছি। ডিলারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মনিকা নাজনীন ইসলাম বলেন, আপনারা আমাদের সাফল্যের মূল চালিকাশক্তি। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আর পরিশ্রমের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। একসঙ্গে আমরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও বড় ভূমিকা রাখতে চাই।
সোনিয়া সারিয়াত বলেন, দেশীয় পণ্য উৎপাদন করে দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়া আমার বাবার স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজ যারা যমুনার ডিলারের দায়িত্ব পালন করছেন, তারা সবাই আমার বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নের সারথি। এ কারণেই আপনাদের প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
এসএম আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ডিলারদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কই আমাদের শক্তি। যমুনা ইলেকট্রনিক্সের পণ্য দ্রুত ও সহজে গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমরা সবসময় কাজ করছি। একই সঙ্গে ডিলারদের যে কোনো সমস্যা সমাধানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ডিলার ও গ্রাহকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা যমুনাকে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।
এসএম আব্দুল ওয়াদুদ আরও বলেন, যমুনা গ্রুপ সবসময় দেশের মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। আপনারা জানেন, দেশের গরিব-অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে নুরুল ইসলাম ফাউন্ডেশন প্রতিবছর হাজারো মানুষকে সহযোগিতা করে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিলারদের যমুনা পরিবারের সদস্য হিসাবে দেখতে আমরা ‘যমুনা ডিলার ওয়েলফেয়ার ফান্ড’ নামে একটি তহবিল গঠন শুরু করেছি। এর মূল উদ্দেশ্য হলো বিপদগ্রস্ত ডিলার এবং তাদের পরিবারের সহযোগিতা করা।
যমুনা ইলেকট্রনিক্সের পরিচালক (মার্কেটিং) সেলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, ডিলারদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই যমুনা ইলেকট্রনিক্স দেশের ইলেকট্রনিক্স খাতে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। আমরা ডিলারদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই।
অনুষ্ঠানে যমুনা ইলেকট্রনিক্সের পণ্যের মান, নতুন বিপণন কৌশল এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। ডিলাররা পণ্যের গুণগত মান ও গ্রাহকসেবার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে যমুনা ইলেকট্রনিক্সের শ্রেষ্ঠ ডিলারদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও দিনব্যাপী আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় দিনটি স্মরণীয় করে রাখেন।
আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এ পার্টনার্স মিট যমুনা ইলেকট্রনিক্সকে দেশের ইলেকট্রনিক্স খাতে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে এবং নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।