মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মেঘনা নদীতে ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলারের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৬ জনকে। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মেঘনা নদীর কালীপুরা ঘাটসংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী বেপারীর ছেলে ওদুদ বেপারী (৩৬), মুন্সীগঞ্জের চরঝাপ্টা রমজানবেগ গ্রামের বাচ্চু সরকারের ছেলে বাবুল সরকার (৪৮), চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাবিক (২৬) ও একই এলাকার নাঈম (২৪)।

খবর নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর উত্তর উপজেলা থেকে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়ার দিকে যাচ্ছিল ট্রলারটি। একই সময়ে বিপরীত দিকে যাচ্ছিল দ্রুতগতির একটি স্পিডবোট। নৌযান দুটিতে ১০/১১ জন আরোহী ছিলো। রাতে ঘন কুয়াশার কারণে স্পিডবোটটি দিক ভুলে ট্রলারে ধাক্কা দিলে ট্রলারটি তলিয়ে যায়। সেই সঙ্গে স্পিডবোটটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় তিনজনের লাশ উদ্ধার হলেও নাঈম (২৪) নামে একজন নিখোঁজ ছিলেন। তার সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ। শনিবার বেলা ২টার দিকে নাঈমের লাশ উদ্ধার হয়।

বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুল করিম খান বলেন, শুক্রবার রাতে আমরা শুনেছিলাম বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে আসার পরে আমরা নিশ্চিত হয়েছি স্পিডবোটের সঙ্গে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের সংঘর্ষ হয়েছে। দুর্ঘটনায় ট্রলারটি তলিয়ে যায় এবং স্পিডবোটটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমার ধারণা যারা মারা গেছেন তারা সবাই ট্রলারের যাত্রী ছিলেন।

নিহত ওদুদ বেপারীর স্ত্রী ফেরদৌসী বলেন, পার্শ্ববর্তী মতলব উত্তর উপজেলার একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন যাত্রীরা।

গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ারুল আলম আজাদ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে নদীতে ট্রলারের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন জন নিহত হয়েছেন।