Logo
Logo
×

শেষ পাতা

ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাস খাদে, দম্পতিসহ নিহত ৫

Icon

ফরিদপুর ব্যুরো

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাস খাদে, দম্পতিসহ নিহত ৫

ফরিদপুরে লেভেলক্রসিংয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। তিনজন ঘটনাস্থলে ও বাকি দুজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর সদরের গেরদা এলাকায় রাজবাড়ী-ভাঙ্গা লেভেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন নারায়ণগঞ্জের ভূঁইয়াপাড়ার বাসিন্দা মামুন চৌধুরী ওরফে লিটন, তার স্ত্রী ফাহমিদা শারমীন ওরফে মুন, একই এলাকার হাসিব জহিরের স্ত্রী সাজিয়া সাজু, সাইদ ভূঁইয়ার স্ত্রী আতিফা রহমান ও নারায়ণগঞ্জের দড়িমোল্লাকান্দার বাসিন্দা আলমগীর হোসেনের স্ত্রী উম্মে তানসুমা রিনতু। নিহতরা সবাই নিকটাত্মীয়।

সূত্র জানায়, গেরদা থেকে একটি সড়ক রেলপথ অতিক্রম করে মুন্সিবাজার এলাকায় মিলেছে। ওই পথে অবৈধ লেভেলক্রসিং রয়েছে। অনুমোদিত লেভেলক্রসিং না হওয়ায় ওই স্থানে রেলবিভাগের কোনো তত্ত্বাবধান নেই। দুপুরে মধুমতী এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটি খুলনা থেকে ফরিদপুর হয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। অপর দিকে ওই মাইক্রোবাসটি গেরদা থেকে মুন্সিবাজারের দিক আসছিল। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করেন তারা। ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাইক্রোবাসটি নিচের খাদে পড়ে গিয়েছিল। সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটির ভেতরে কিংবা নিচে চাপা পড়া অবস্থায় কোনো লাশ পাওয়া যায়নি। মাইক্রোবাসটিতে ৯ জন ছিল বলে জানা গেছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা ও পুলিশ সুপার আবদুল জলিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসক বলেন, নিহত ব্যক্তিদের লাশ বহন ও দাফনের জন্য যাবতীয় খরচ বহন করবে জেলা প্রশাসন।

ফরিদপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাকদির হোসেন বলেন, গেরদায় রেলবিভাগের অনুমোদিত কোনো লেভেলক্রসিং নেই। তবে দুর্ঘটনার বিষয়ে আমি শুনেছি এবং খোঁজ নিয়েছি। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

রেলওয়ে রাজবাড়ী থানার ওসি আশিক সিদ্দিকুর ইসলাম বলেন, নিহতদের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশগুলো পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজবাড়ী রেলওয়ে থানায় মামলা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম