ধামরাইয়ে ৩ জনকে রাতভর নির্যাতন পুলিশ সোর্সের
থানা থেকে ৬০ হাজার টাকা মুচলেকায় মুক্তি
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
ঢাকার ধামরাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে একই পরিবারের তিনজনকে রাতভর আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক পুলিশ সোর্সের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের কেলিয়া পূর্ব পাড়া এলাকার পুলিশ সোর্স আলম হোসেনের বোনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগীদের থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। ৬০ হাজার টাকা মুচলেকার মাধ্যমে থানা থেকে তাদের মুক্তি মেলে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে থাকেন মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানা সদরের পোশাক শ্রমিক বাবলু মিয়া। স্ত্রী, কন্যাসন্তান ও ছোট ভাই সাব্বির হোসেনসহ ওই বাড়িতে বসবাস করেন তারা। এক পর্যায়ে আলম হোসেনের বোনের নাতনি হিমা আক্তারের (১৯) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সাব্বির। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সাব্বির ও হিমা পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।
বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে আলম হোসেনের শরণাপন্ন হন তার বোন। ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পুলিশ সোর্স ও মাদকাসক্ত ছয় বন্ধু মিলে তার বোনের বাড়িতে যায়। ভাড়াটিয়া বাবলু, তার সহধর্মিণী ও তার ছোট ভাইকে রাতভর একটি কক্ষের ভেতর আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। শুক্রবার সকালে তাদের ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজহার আলীর কাছে সোপর্দ করে। তিনি বাবলুর কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা মুচলেকা রেখে তাদের ছেড়ে দেন।
ভুক্তভোগী বাবলু বলেন, আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ির মালিকের নাতনির প্রেমের ঘটনা মেনে না নেওয়ায় ছয়জনে আমাদের ওপর নির্যাতন চালায়। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আমাদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
এসআই আজহার বলেন, ৬০ হাজার টাকা তাদের কাছে ওই বাড়ির মালিকের পাওনা ছিল। কাউকে থানায় আনার পর মুচলেকা নিয়েই ছেড়ে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তাই তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।