Logo
Logo
×

শেষ পাতা

সঞ্চয়পত্র ও প্রবাসী বন্ড বিনিয়োগের নীতিমালা শিথিল

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সঞ্চয়পত্র ও প্রবাসী বন্ড বিনিয়োগের নীতিমালা শিথিল

সরকারি খাতের চার ধরনের সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধিনিষেধ আংশিক শিথিল করেছে সরকার। এখন থেকে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের মেয়াদি হিসাবের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা পর্যন্ত আমৃত্যু পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা পাবেন।

তবে প্রতিবার পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা নিতে হলে গ্রাহককে অনলাইনে বা সশরীর সংশ্লিষ্ট অফিসে উপস্থিত হয়ে সম্মতি দিতে হবে। গ্রাহকের সম্মতি ছাড়া পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা কার্যকর হবে না। একই সঙ্গে তিন ধরনের বন্ড কেনার নীতিমালা শিথিল করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই বিষয়ে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন পাঠানো হয়েছে সঞ্চয় ব্যুরো অফিস, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের অফিসগুলোয়।

৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। পরে ১৮ নভেম্বর ওই প্রজ্ঞাপনের শর্তাবলি আরও স্পষ্ট করার লক্ষ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহককে শর্তসাপেক্ষে আমৃত্যু পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সভার কার্যপত্রটি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর আলোকে সার্কুলার জারি করেছে।

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং বন্ডে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রবাসীদের বিনিয়োগ বাড়ানো উৎসাহিত করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর ফলে এখন থেকে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র এবং তিন ধরনের প্রবাসী বন্ডে গ্রাহকদের বিনিয়োগ করা অর্থ আমৃত্য পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা নেওয়া যাবে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র এবং তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের বিপরীতে গ্রাহকরা আমৃত্যু পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা পাবেন। তবে শর্ত হচ্ছে, যেসব তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পরিবার সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর বা এরপর মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, সেসব সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকরাই কেবল এ সুবিধা পাবেন। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ইস্যু করা সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রেও এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে।

গ্রাহকরা বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা পর্যন্ত পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা পাবেন। ঊর্ধ্বসীমা অতিক্রম করলে সে ক্ষেত্রে বাড়তি অর্থ গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে চলে যাবে। বাকি অর্থ পুনঃবিনিয়োগের সুবিধার আওতায় আসবে।

ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ইস্যু করা বন্ডের ক্ষেত্রে জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় ইস্যু করা ওয়েজ আর্নার বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের মতো একই মেয়াদে পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রেও প্রতিবার পুনঃবিনিয়োগের জন্য অনলাইনে বা সশরীর গ্রাহকের সম্মতি নিতে হবে।

প্রচলিত নীতিমালা অনুযায়ী, ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং যৌথ নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা করে বিনিয়োগ করা যাবে। পরিবার সঞ্চয়পত্রে একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা, পেনশনার সঞ্চয়পত্রে একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা যাবে। ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ডে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা যাবে।

ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড এবং ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। এছাড়া জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় একটি নতুন সুবিধা চালু হবে, যার মাধ্যমে একজন বিনিয়োগকারী ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে পুনঃবিনিয়োগের আবেদন করতে পারবেন। চাইলে তিনি ইস্যুকারী দপ্তরে সশরীরে উপস্থিত হয়েও পুনঃবিনিয়োগের জন্য আবেদন দাখিল করতে পারেন।

এতে বলা হয়, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে অনলাইনে কিংবা সশরীরে কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এ নথি জমা দেওয়া যাবে।

যে তারিখে সঞ্চয়পত্রের অর্থ পুনরায় বিনিয়োগ হবে, সেই তারিখের মুনাফা হার ও স্ল্যাব প্রযোজ্য হবে। মুনাফাসহ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উৎসে কর কেটে রাখার পর যে নিট মুনাফা হবে, তা পুনঃবিনিয়োগের সুবিধায় আসবে। মৃত ব্যক্তির নমিনি কিংবা উত্তরাধিকারী পুনঃবিনিয়োগের সুবিধা প্রাপ্য হবেন না। যেসব সঞ্চয় স্কিম লিয়েন অথবা স্থগিত রয়েছে, সেসব স্কিম পুনঃবিনিয়োগের সুবিধা পাবে না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম