ডেঙ্গুতে এক দিনে ৫ মৃত্যু হাসপাতালে ভর্তি ২৭৪
রোগী বেড়ে দাঁড়াল ৯৯ হাজার ৫৬৯ জনে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
দেশে এডিস মশাবাহী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭৪ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ৫৫৬ জনের প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গু। আর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৯ হাজার ৫৬৯ জনে। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে এর আগে বৃহস্পতিবার ডেঙ্গুতে পাঁচজনের প্রাণ যায়। পরদিন শুক্রবার চারজন, শনিবার তিনজন, রোববার কারও মৃত্যু হয়নি, সোমবার একজন ও মঙ্গলবার দুজন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুধবারের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, দুজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং একজন খুলনা বিভাগের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
অপরদিকে নতুন ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৮৪, ঢাকা বিভাগে ৫৫, ময়মনসিংহে ৯, চট্টগ্রামে ৪১, খুলনায় ৪৩, রাজশাহীতে ৪, রংপুরে ৩, বরিশাল বিভাগে ৩৩ এবং সিলেট বিভাগের হাসপাতালে ২ জন ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১ হাজার ৩৪৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ৫১২ জন; আর ৮৩৬ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে। এ বছর মোট ভর্তি রোগীর মধ্যে ৫৯ হাজার ৭৫৬ জন ঢাকার বাইরের রোগী। ঢাকার দুই মহানগর এলাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৯ হাজার ৮১৩ জন। ডিসেম্বরের প্রথম ১৮ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮ হাজার ১০০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, আর মৃত্যু হয়েছে ৬৮ জনের।
এ বছর সবচেয়ে বেশি ৩০ হাজার ৮৭৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন অক্টোবরে। সে মাসে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এক মাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে নভেম্বরে, ১৭৩ জন। নভেম্বরে ২৯ হাজার ৬৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ৫৫৬ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৪০ শতাংশ পুরুষ।
২০২৩ সালের জুন থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।